প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বন্দর প্রতিনিধি: বন্দর বাজার এলাকার ভেজাল ওষুধ বিক্রির মূল ঘাটি হচ্ছে কেয়া সার্জিক্যাল হাউজ। সেবা দানের নাম করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জণ কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কথিত কেয়া জেনারেল হাসপাতালের নামধারী মালিক আবুল কালাম দীর্ঘ দিন ধরে নির্বঘ্নে এসব ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
বেশি মুনাফার লোভে কালাম বিভিন্ন অখ্যাত মেডিসিন কোম্পানী ওষুধ কেয়া সার্জিক্যাল হাউজ,কেয়া ড্রাগ হাউজ ও অভিজিৎ ড্রাগ হাউজসহ নামক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দর বাজার এলাকার সৈয়দ প্লাজার দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে। কথিত ক্লিনিক ব্যবসায়ী আবুল কালাম তার ক্লিনিক পরিচালনার ক্ষেত্রেও এ সকল নিন্ম মানের ওষুধ রোগীদের কাছে বিক্রি করে আসছেন। এ সকল অখ্যাত কোম্পানী ওষুধ ক্রয় করে সাধারণ মানুষের কোন উপকারে না এলেও আবুল কালাম রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছেন।
অবৈধভাবে আয়ের উৎস্য গড়ে তোলায় আবুল কালামের নামে-বেনামে অসংখ্য ক্লিনিক ও ওষুধ বিক্রির প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তার ওই সকল ওষুধ বিক্রির প্রতিষ্ঠানের ড্রাগ লাইসেন্স থেকে শুরু করে ওষুধ প্রশাসনের ইনভয়েস তালিকাও পাওয়া যায় না। এরূপ গুরুতর অভিযোগ স্বত্ত্বেও বন্দর উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিরব। জনস্বার্থে কথিত ক্লিনিক ও ওষুধ ব্যবসায়ী কালামের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আশু কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বন্দরের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ জোরদাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি বন্দর থানা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া শহীদ জানান,এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। এরা মানুষের সরলতাকে পূঁজি করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। এদের কাছে মানুষের সেবার চেয়ে টাকা ইনকামটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কাজেই আমি মনে করি বন্দর উপজেলা প্রশাসনের বিষয়টি অতীব গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। অন্যথায় এতদ অঞ্চলের মানুষ সর্বদাই এইসকল কালাম প্রকৃতির অর্থলোভীদের কবলে পড়ে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।