প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের ১৫জনকে কুপিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর,লুটপাটসহ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মুসাপুর ইউনিয়নের ফনকুল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন জমিলা,নিলুফা,মোতালেব,আবু তালেব,আব্দুল মালেক,আব্দুল সালেক,আব্দুল খালেক,মা রাহিয়া খাতুন, বিল্লাল হোসেন,আব্দুল্লাহ,আলফি জাহান ও জান্নাত।আহতদের মধ্যে জমিলা,নিলুফা ও আবু তালেবকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রবিউল আউয়াল বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফনকুল এলাকার মৃত ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে রবিউল আউয়াল তার দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন,তাদের উপর দীর্ঘ দিন ধরে পার্শ্ববর্তী শাসনেরবাগ এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মামুন,ইকবাল,সুজু,হারুন,কুলচরিত্র গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শুভ,জিকির ও সাজ্জাদ গং অত্যাচার চালিয়ে আসছে।
এর ধারাবাহিকতায় উল্লেখিতরা গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় বসত ঘরে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে মামুন,ইকবাল,সুজু,হারুন,শুভ,জিকির ও সাজ্জাদ গং দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রবিউল আউয়ালসহ তার বোন জমিলা,নিলুফা,ভাই মোতালেব,আবু তালেব,আব্দুল মালেক,আব্দুল সালেক,আব্দুল খালেক,মা রাহিয়া খাতুন,বোন জামাই বিল্লাল হোসেন,আব্দুল্লাহ,ভাগিনা আলফি জাহান ও জান্নাতকে এলোপাথাড়ি কোপায়।
ভাই আবু তালেবকে হত্যার উদ্দেশ্যে শুভ ও জিকির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপায়। একই সময় দু’বোন জমিলা ও নিলুফা আক্তারের পরনের কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করে। পরে তারা নগদ ৩লাখ টাকা ও ৩ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে প্রায় ৮লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
আহতদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন জমিলা,নিলুফা ও আবু তালেবকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।