প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জাকির খানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যা মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক শাম্মী আক্তারের আদালতে এই সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এদিন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য্য করা হয়েছিলো। সেই মামলায় নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সাক্ষী প্রদান করেন। সাক্ষী গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৬ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন বলেন, আজ জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা ছিল।
সেই সাথে সাব্বির আলম খন্দকারের বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। এটি ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলা। দীর্ঘদিন পর আজ প্রথম মামলার বাদী সাক্ষী দিতে এসেছেন। আমরা জাকির খানের পক্ষে জেরা করেছি। আগামী তারিখেও আবার জেরা করা হবে। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম বলেন, ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আসামী জাকির খানের বিরুদ্ধে তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর সাক্ষী প্রদান করেছেন।আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেছেন।
এদিকে জাকির খানকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই তার অনুসারীরা উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে তারা জাকির খানের মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগে থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শনক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বলেন, পরিস্থিত স্বাভাবিক ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের নিয়মিত ডিউটি হচ্ছে কোনো হাজতি আদালতে আনা হলে পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেদিকটা খেয়াল রাখা।
সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুত ছিলাম। প্রসঙ্গত, জাকির খান নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলার আসামি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। পরিচয় গোপন করে গত এক বছর সপরিবারে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।