বন্দরে কাউন্সিলর আশার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরের বাগবাড়িতে পুলিশের ধাওয়ায় পুকুরে ডুবে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাসহ কয়েকজন নিরিহ লোকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে ২৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেছে। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় কবিলের মোড়ে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ২২নং ওয়ার্ড ১ কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মেদ ভ’ইয়া, ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, কানিজ ফাতেমা, সৈকত, টুটুল, নাজমুল হক রানা, জুয়েল, পাপ্পু, শাহআলম, রনি, আশরাফুল, আলতাফ, আকাশ, আঁখি প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। কতিপয় ভ’মিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে এ মামলা নেয়া হয়েছে। পুলিশ জানে এ ঘটনাটি একটি নিছক দুর্ঘটনা। পুলিশ জেনেও কেন এ মামলা নিয়েছে তা আমাদের প্রশ্ন। বক্তারা আরো বলেন, নাসিক নির্বাচনে সাবেক কাউন্সিলর দুলাল প্রধান পরাজিত হয়ে পাগল হয়ে গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের দিন সে নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের পরিবারদের ফুসলিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্ররায়ণ হয়ে বর্তমান কাউন্সিলর আশার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করিয়েছে।

যে মামলার কোন ভিত্তি নেই। এ মামলায় নিরিহ লোকদের হয়রানি করা হচ্ছে। বক্তরা আরো বলেন, ৭ দিনের মধ্যে এ মামলা প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তম আন্দোলনের মাধ্যমে এর কঠোর জবাব দেয়া হবে। প্রয়োজনে বন্দরের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হবে। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগ সকলেই ঘটনার সত্যতা লাশ উদ্ধারের দিন জেনে গেছে। তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেন দ্রুত এ মামলা থেকে কাউন্সিলর আশা সহ নিরিহ লোকদের হয়রানি থেকে মুক্ত করে এ মামলা প্রত্যার করে নিতে। নয়তো জনগণ ক্ষেপে গেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে কষ্ট হয়ে যাবে। তাই বক্তরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করবেন না দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১ মে বন্দরের বাগবাড়ি এলাকার হাসিনা বেগম নামে এক নারী নিহত নিলয় আহাম্মেদ বাবুসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সে অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির দারোগা রওশন ফেরদৌস ঘটনার তদন্তে ঐদিন রাতে বাগবাড়ি এলে অভিযুক্তরা পুলিশ দেখে দৌড়ে পাুিলয়ে যায়। এর মধ্যে নিলয় আহাম্মেদ বাবু পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পুলিশ কাউকে না পেয়ে চলে যায়। গত ৪ মে বাবুর বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে সংবাদ দেয়। পুলিশ ২ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ঐদিনই দারোগা রওশন ফেরদৌসকে ক্লোজ করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, হাসিনা বেগম তার ঘরে অভিযুক্তরা চুরি করেছে মর্মে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাকে জানালে আশা স্থানীয় পঞ্চায়েতের লোকদের ডাকলেও তারা কাউন্সিলরের ডাকে সারা দেয়নি। পরে সে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দারোগা রওশন ফেরদৌস বাবুকে গ্রেফতারের জন্য ধাওয়া করায় ও পুকুরে ইটপাটকে নিক্ষেপ করে চলে যায়। লাশ উদ্ধারের দিন ঘটনাস্থলে সাবেক কাউন্সিলর সাউফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধান আসেন। এদিকে এলাকাবাসী বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী হাসিনা বেগমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটক হাসিনাকে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার শত শত লোক উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং পুলিশের সামনেই তার উপর হামলা করে। পুলিশ অনেক কষ্টে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আটক দুইজনকে থানায় নিয়ে যায়। লাশ দাফন শেষে নিহতের মা রাতেই অদৃশ্য ইশারায় স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশাকে হুকুমের প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ লাশ গুমের মামলা করে।

এ ব্যপারে কাউন্সিলর আশা বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমাকে অহেতুক জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করেছে। আমিও এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। যেখানে পুলিশের ধাওয়ায় একজন যুবক পুকুরে ডুবে মারা গেল সেখানে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করা হলো। আমি প্রশাসন ও মিডিয়ার প্রতি আহবান জানাই তারা যেন সঠিক তদন্ত ও সঠিক সংবাদ প্রকাশ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here