না.গঞ্জ শহরের নিউ জিমখানায় রমরমা মাদক ব্যবসা,করোনার ঔষধ মিলছে সুজন ও পারভীনের কাছে।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: নেশাই যেনো বর্তমানে মাদকসেবীদের করোনা রোগের ঔষধ। করোনা আতঙ্কে যেখানে কাঁপছে সারাদেশ। এ মহামারিতে দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় এখন মাদকের আকাল চলছে। কিন্তুু রাস্তার নিরবতার সুযোগে যেনো মাদক নিয়ে দাবড়ে বেড়াচ্ছে নিউ জিমখানা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসয়ী সুজন ও পারভীনের।

নারায়ণঞ্জ সদর উপজেলাধীন সদর থানায় দিনে-দুপুরে স্বামী সুজন (৩০) ও রাতের আধারে স্ত্রী পারভীন(২৫)গংদের মাদকের ছড়াছড়ি চলে শহরের নিউ জিমখানা ও তার আশপাশের এলাকার। প্রশাসনের মাদক বিরোধী অভিযানকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অত্র এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবৎ এ দুই দম্পত্তি মাদক কারবারী করে আসছে বলে জানায় স্থানীয়রা।স্থানীয়রা জানান, যেখানে মাদক ব্যবসার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক যুবসমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। বিশ্বের মহামারি রোগ করোনা-১৯ এবং প্রশাসনের অভিযানের কারনে বিভিন্ন এলাকার অনেক চিহ্নিত মাদক কারবারিরা আত্মগোপনে রয়েছে, সেখান জিমখানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা চলমান অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সুজন ও পারভীন।

মাদকসেবীরাও যেনো করোনার ঔষধ মনে করে এলাকায় পূর্বের চেয়ে বেশি পাড়ি জমাচ্ছে। স্থানীয়রা আরো জানান, করোনার কারণে লকডাউন এবং রাস্তাঘাটের নিরবতার সুযোগে তারা মাদক রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে মাদক ব্যবসা করেই যাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে মাদকদ্রব্য। এর সুযোগে তারা নতুন নতুন কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের মজুদ বাড়ানোর এবং পাচার করছে সুজন ও পারভীন।

বিভিন্ন সময় মারামারি, চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত নিউ জিমখানার দুই দম্পত্তি। আসলে মাদক এই রাষ্ট্র ও সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি বলেও মনে করছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তারা বলেন, নিউ
জিমখানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রশাসনকে বলা হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তবে হ্যাঁ, কেউ এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। এই ভাবে আর মাদক ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না। পুলিশ ও সাংবাদিক যদি এই বিষয়ে সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো অতি দ্রুত অত্র এলাকার মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here