নারায়ণগঞ্জে মাদকের পাওনা টাকা বিরোধে রহিমকে হত্যা : আসিফের স্বীকারোক্তি।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃমাদক বক্রির পাওনা টাকা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী আব্দুর রহিমকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত অভিযোগে ঘাতক সাদ্দাম হোসেন আসিফসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতারের পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে সাদ্দাম হোসেন আসিফকে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার পাঁচগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। একই সাথে আসিফকে সহযোগিতার অভিযোগে মাসদাইর গুদারঘাট ও কাশিপুর এলাকার চরনরসিংপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আসিফের মা রাজিয়া ও খালা সুলতানাকে। গ্রেফতারের পর এই তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এই বিষয়টি স্বীকার করেছে।

এর আগে রহিম হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতেই নিহত আব্দুর রহিমের মা রহিমা বেগম বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাদ্দাম হোসেন আসিফ, নষ্ট ফারুকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আর তিন চারজনকে আসামী করা হয়। নিহত আব্দুর রহিম মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার ইলিয়াস সরদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঈমান আলীর ছেলে। সে এখানে তার বাবা-মা’র সাথে বসবাস করতেন এবং ইলেক্ট্রিক কাজ করতেন।
খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের ও ঘাতকসহ তিনজনকে গ্রেফতার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাসদাইর গুদারঘাট এলাকায় ফারুক নামে এক ব্যক্তির মোবাইলে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আব্দুর রহিমকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। এরপরপরই অভিযান চালিয়ে হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকায় সাদ্দাম হোসেন আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে তার মা রাজিয়া ও খালা সুলতানাকে গ্রেফতার করি।

ওসি আসলাম আরও বলেন, হত্যার পরপরই রক্তমাখা ছুরি ধুয়ে দিয়ে তার মা রাজিয়া তাকে সাহায্য করে আর খালা তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। মামলার অন্যান্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যদেরও গ্রেফতার করা হবে। এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় ভাবে মাদক বিক্রির একটি গ্যাং রয়েছে ফারুক হোসেন ওরফে নষ্ট ফারুকের। তার শ্যালক সাদ্দাম হোসেন আসিফ এ ব্যবসার সাথে জড়িত। আব্দুর রহিম একজন মাদকাসক্ত।

বাকিতে মাদক নিয়েছিলো সে আসিফের কাছ থেকে। মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে শুক্রবার রাতে নষ্ট ফারুকের মোবাইল ফ্লেক্সিলোডের দোকানে তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফ ধারালো ছোরা দিয়ে আব্দুর রহিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গলাকেটে দেয়। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় রহিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দোকানের বাইরে বের করে দেয় আসিফসসহ তার সহযোগিরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here