প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: হত্যা, চাঁদাবাজি, মারামারি, জমি দখল ও প্রতারণাসহ মোট ৯টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার যুবলীগের নেতা ফারুক হোসেন রিপন অরফে সেমাই রিপন। রিপন কে একাধিক বার গ্রেফতার করেছিলো সদর মডেল থানার পুলিশ। রিপন সৈয়দপুর এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, রিপন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয়কে পুঁজি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন।
শহীদ নগর ও সৈয়দপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জমি দখলের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে মুখ খোলা ছিল দুষ্কর। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, রিপন অবৈধ কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল সেমাই তৈরি করে বাজারজাত করতেন। আজমেরী ওসমানকে ম্যানেজ করে এ কাজটি পরিচালনা করতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই কারণে এলাকায় তিনি সেমাই রিপন নামে পরিচিতি পান।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ওসি নজরুল ইসলামের বক্তব্য জানা যায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সদর থানা ও জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা রুজুও হয়েছে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, জেল হাজত থেকে বের হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই রিপন নিজেকে ‘কিং খান’ খ্যাত জাকির খানের অনুসারী বনে যায়।
যার ফলে সে আবারও এলাকায় চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি নিয়মিত কার্যক্রমে রূপ দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এলাকায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ভয়ের সংস্কৃতি দূর করতে এরকম অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা জরুরি





