প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ শহরে তাসফিয়া রহমান ফিজা (১০) নামে এক শিশুকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপারেশনের নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে মামা ও খালার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে শিশুটির মা তামান্না দেওয়ান দোলা (২৮)কে মারধর করে হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়।সম্প্রতি এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তামান্না দেওয়ান দোলা (২৮) ফতুল্লা কাশীপুর বাংলা বাজার এলাকার মো. মনির হোসেনের মেয়ে। ও তার মেয়ে তাসফিয়া রহমান ফিজা।
অভিযুক্ত সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি (৩৮) ও তার ভাই নাঈম দেওয়ান জয় (৩০)। তারা ফতুল্লার দেওভোগ বাংলা বাজারের বড়বাড়ী এলাকার মো. মনির হোসেনের সন্তান। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিবাদীরা আমার আপন ভাই-বোন। প্রায় ৪ বছর পূর্বে পারিবারিক কারণে স্বামীর সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আমাদের সংসারে তাসফিয়া রহমান ফিজা নামে ১০ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পরে আমি আমার কন্যা ফিজার ভরণপোষণ প্রদান করে আসছি। সম্প্রতি আমার কন্যা ফিজার পেটে ব্যথা হলে আমাকে না জানিয়ে বিবাদীরা তাকে অপারেশন করার জন্য কালিবাজারস্থ মেডিপ্লাস ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করায়।
এ খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে তারা আমাকে না জানিয়ে হাসপাতাল পরিবর্তন করে চাষাঢ়ার আমলাপাড়া এলাকায় অবস্থিত মেডিহোপ ক্লিনিকে নিয়ে যায় আমার মেয়েকে। গত ১৫ জুলাই সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তার অসুস্থ্যতার বিষয়ে জানাতে চাইলে, তারা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানায়, আমার মেয়ের অপারেশনের প্রয়োজন নেই। চিকিৎসা গ্রহণ করলে সুস্থ্য হয়ে যাবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে বিবাদীরা আমাকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সাক্ষী আছমা খাতুন শিরীন আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও ওরা মারধর করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
পরে তারা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় আমি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের সহায়তায় নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করি। পরে গত ১৬ জুলাই আমার মেয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। মূলত বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আামর মেয়েকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এ বিষয়ে তামান্না দেওয়ান দোলা বলেন, পরিকল্পিতভাবে ওরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ওরা আমার মেয়েকে অপারেশনের নামে নাটক সাজিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। এ ঘটনা শুনে ওই হাসপাতালে গেলে আসামিরা আমার উপর উত্তেজিত হয়ে মারধর করে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।





