প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এর দূর্দান্ত দাপটে মেয়র ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ভাজন সেলিনা আইভীর মেয়র পদ থেকে অপসারন করা হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে । এই নারী দায়ীত্ব পালনকালে মুক্তিযোদ্ধা সহ বয়স্ক-যুবক মানুষের সাথে অশোভন আচরন করা সহ অনেক মানুষের হক মেরেছেন।
জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভী বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। বার বার মেয়র হওয়ায় তার মনের ভেতর অহংকারের জন্ম নিয়েছে। একদিকে ক্ষমতার দাপট অপরদিকে স্থানীয় দাপটের কারনে সে কারও গুনত না। ২০১৪-২০১৫ সালে নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ডের ধামগড় এলাকায় রূপায়ন গ্রুপের পক্ষে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে অন্যায় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷
শুধু তাই নয় স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবাদ করলে তার সাথেও অশোভন আচরন করে। এদিকে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দিয়ে কদম রসূল নামের প্রস্তাবিত সেতু নিয়ে রেলওয়ে কর্মচারী কল্যান ট্রাস্ট ও রেলওয়ে কর্তিপক্ষের সাথে জড়িয়ে পড়েন দ্বন্দে। এছাড়াও তিনি ২০২৩ সালে ঈদুল আযহা উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাট নিয়ে করেছেন অনিয়ম, দূরনীতী ও প্রতারনা। ওই বছর জেলা প্রশাসনের কাছে ১৯ টি অস্থায়ী পশুর হাটের প্রস্তাব পাঠানে জেলা প্রশাসন অনুমোদন দেয় ১৬ টির।
মেয়র সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিজের গায়ের জোরে ১৯ টি হাটের সিডিল বিক্রি করে । সেই ৩ টি অবৈধ পশুর হাটের মধ্যে একটি হাট হলো নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষনখোলা বালুর মাঠ। এই হাটটিতে সরবোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পায় সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন । এদিকে হাটটি ইজারা না পাওয়ায় স্থানীয় কাউসিন্সর এনায়েত হোসেন ইজারাদারের লোকজনকে মারধর সহ ইজারাদারকে হত্যার চেষ্টা সহ হুমকি দেয় । এরপর জেলা প্রশাসন ওই হাটটি বন্ধ ঘোষণা করে ।
এ বিষয়ে ইজারাদার জানতে চাইলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বলে হাটটি অনুমোদন দেয়া হয়নি তাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর ইজারাদার সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন মেয়রের সাথে একাধীক দেখা করতে চেয়েও ব্যাথ’ হন। এরপর ইজারাদার মেয়রের বরাবর একাধীক বার আবেদন করেও কোনো উত্তর পাননি । এ বিষয়ে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, উনি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে হাট দিয়ে চরম অনিয়ম ও প্রতারনা করেছে ।
শুধু তাই নয় তিনি অবৈধ পশুর হাট ইজারা দিয়ে আমার কাছ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি মেয়র আইভীর বিচার চাই এবং আমার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ২৭ লক্ষ টাকা সহ জরিমানা চাই। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুক্তিযোদ্ধা জানান, রূপায়ন গ্রুপের সঙ্গে আতাত করে বিশেষ সুবিধা নিয়ে আইভী রাস্তার জন্য বিন্দু মাত্র জমি না ছেড়ে বাউন্ডারী দেয়া ও প্রায় দেরশ বছরের পুরানো ওয়াকফকৃত মসজিদ ভাঙ্গা সহ স্থানীয়দের সাথে অবিচার সহ খারাপ আচরন করে । সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তার বিচার দাবী করেন।