রাত পোহালেই আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফুটবল ম্যাচ, হার্ডলাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফুটবল বিশ্বের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশেও দুটি দলের সমর্থকগোষ্ঠীর অভাব নেই। যাদের অনেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন সারাদেশেই। এই দুই দলের খেলা অনুষ্ঠিত হলে পাড়ায়-মহল্লায় বড় পর্দায় সেটি প্রদর্শন, পিকনিক, পছন্দের দলের পক্ষে মিছিল এসব যেন চিরায়ত দৃশ্য। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের ফলে পাল্টে গেছে চিত্র। নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো ধরণের জনসমাগম সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।

রাত পোহালেই (রোববার) কোপা আমেরিকার ফাইনালে লড়বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকারা। দুই দলের খেলোয়াড়দের ফুটবল ছন্দ দেখার জন্য যখন বিশ্ব মুখিয়ে আছে, ঠিক তখন উল্টো চিত্র বিরাজ করছে বাংলাদেশে। দেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাটসহ প্রতিটি জেলায় দুই দলের সমর্থকদের উন্মাদনা দমাতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বড় পর্দায় খেলা দেখাসহ সব ধরনের বিজয় মিছিল।

দেশের কোথাও কোনো ধরনের জনসমাগম করে খেলা দেয়ার আয়োজন করলে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।জানা যায়, রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায়। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দলের তারকা মেসি-নেইমারদের ফুটবল খেলা দেখে মাতবে বিশ্ব। এদিকে সবাই যখন উল্লাসে মাতবে তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে দুই দলের সমর্থকদের। কারণ এর আগে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে ৬ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুরে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়ান।পরে আহতাবস্থায় দুই দলের চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ অবস্থায় ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই দলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। দুই দলের সমর্থকরা জানান, তারা সুন্দরভাবে খেলা উপভোগ করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোনও কাজ করবেন না।সরদার মাইনুল নামের এক ব্রাজিল সমর্থক বলেন, ৯৫ থেকে তিনি ব্রাজিলকে সমর্থন করেন। ফুটবল ছন্দ মানে ব্রাজিল, তাই জিতবেও ব্রাজিল। জেলায় দুই দলের সমর্থকদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কোনভাবেই ঠিক নয়। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে সংঘাত বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু ভালো ফল আসে না।

সবাইকে সংযত হয়ে খেলা দেখার অনুরোধ করেন এই সমার্থক।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, রোববার ভোর থেকে মাঠে থাকবে পুলিশের ৪৫টি টিমসহ অন্তত এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। কেউ যেন খেলাকে কেন্দ্র করে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক থাকবে। খেলা চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ে সব ধরনের বিজয় মিছিল এবং পটকা ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া মো. সোহেল রানা বলেন, খেলা নিয়ে কোনো জনসমাগম কিংবা মিছিল নয়। সারাদেশে কঠোর থাকবে পুলিশ।

কোনো সমাগম করলে গ্রেফতার করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে।অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম রাজধানীতে কোনো প্রকার সমাগম করতে দেওয়া হবে। খেলা দেখতে ক্লাবে নয়, ঘরে বসে দেখতে হবে। এ  ব্যাপারে পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে থাকবে তল্লাশি চৌকি। বাড়ানো হবে পুলিশি টহল।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে কারণে কোনো জনসমাগমের সুযোগ নেই। তাই ক্লাব কিংবা চায়ের দোকানে বসে খেলা দেখা যাবে না। ঘরে বসে দেখা দেখতে হবে। এই খেলা নিয়ে  সহিংসতা রোধে হার্ডলাইনে থাকবে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here