প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সীমান্ত বিরোধ নিয়ে এবার ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে চীন। সমঝোতা বৈঠকের পর পিছু না হটে বরং সীমান্তে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন কয়েকগুণ বাড়িয়েছে চীন। পাল্টা জবাবে ভারতও সীমানে সেনা মোতায়েন জোরদার করেছে। এতে করে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর যুদ্ধ যুদ্ধ রব বিরাজ করছে।
চীনে ইতোমধ্যে এলএসি বরাবর নতুন করে ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। সতর্ক অবস্থানে আছে ভারতও। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুধু লাদাখ নয়, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে চীন। সেনা ছাড়াও যুদ্ধ সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করলেও, ফের দ্রুত এলএসি বরাবর এলাকাগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
এমনকি হিমাচল প্রদেশে চীন-ভারত সীমান্তের যে অংশে এর আগে চীনা হেলিকপ্টার দেখা গিয়েছিল সেনা ভারত অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলেও দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে অভিযোগ করেছেন, চীনারা লাদাখে ঢুকে ভারতের জমি দখল করে নিলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি নিয়ে কোনও কথাই বলছেন না।
রাহুলের কথার জবাবে ক্ষমতাসীন বিজেপি বলছে, দেশের স্ট্র্যাটেজিত স্বার্থ জড়িত এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে টুইটারে অন্তত প্রশ্নই তোলা যায় না। তবে লাদাখ সীমান্তের সংঘাত শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে গড়াবে না- এমন ধারণা থেকেই বিজেপি তথা মোদী এ মুহূর্তে কিছুটা নীরব ভূমিকায় রয়েছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এর আগে গেল ৫ মে লাদাখের প্যাংগং লেক এলাকায় চীন ও ভারতের সেনাদের সংঘাত শুরু হয়। হাতাহাতি ও পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এরপর গেল শনিবার ও বুধবার সামরিক পর্যায়ে দু’দফা বৈঠকের পর লাদাখের ৩টি জায়গার মুখোমুখি অবস্থান থেকে পিছু হটে দু’দেশের সেনারা। কিন্তু এ সমঝোতা শেষ পর্যন্ত হালে পানি পাচ্ছে না।