বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বিস্মিত ভারতের সাবেক বিচারপতি

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বাবরি মসজিদ নিয়ে ভারতের সুপ্রিমকোর্টের রায় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক বিচারপতি অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন রায়েই একটা কথা বলা হয়েছে, যেখানে নামাজ পড়া হয় সেই জায়গাকে মসজিদ হিসেবে অস্বীকার করার উপায় নেই।

সেই যুক্তিটাকে মেনে যদি আমরা এগোই, তাহলে দেখতে হবে যে এটা সর্বজন স্বীকুত সত্য, বাবরি মসজিদে নামাজ পড়া হচ্ছিল অনেকদিন ধরে। ১৮৫৬/৫৭ সালে নাও হতে পারে,কিন্তু ১৯৪৯ সাল থেকে বটেই, যবে থেকে আমাদের সংবিধান এসছে তবে থেকে এখানে নামাজ পড়া হচ্ছিল। তাহলে আমাদের সংবিধানে স্বীকৃত যে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা আছে, সেটাকে রক্ষা করার অধিকারও সংখ্যালঘু (মুসলিম) সম্প্রদায়ের আছে।

আজ ৯ নভেম্বর, শনিবার বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণার পর সংভাদ চ্যানেল এবিপি আনন্দকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায় এসব কথা বলেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই বিচারপতির মতে,  ৩০০ বছর আগের স্থাপনার মালিকানা ঠিক করা সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয়। বরং স্বাধীন ভারতের সংবিধানে প্রতিটি মানুষের ধর্মচারনের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। যদি ৩০০ বছর আগের বিচার এখন করা হয়, তাহলে অনেক মন্দির মসজিদ ভাঙা পড়বে উল্লেখ করে ভারতের স্বাধীনতার পরের বিষয় নিয়ে বিচার করার পক্ষে মত দেন অশোক কুমার।

আমরা স্পেষ্ট দেখেছি এই মসজিদকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবং সেইটার ব্যাপারে যে মামলা হয়েছিল, সেই ইসমাইল ফারুকির মামলায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিলেন, এই মসজিদ ধ্বংস করাটা জাতীয় লজ্জার বিষয়। এবং সরকারের শ্বেতপত্রে ওটাকে (বাবরি মসজিদ) ওনারা একটা ৫০০ বছরের সৌধ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবংবলেছিলেন, এটাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে আমাদের সাংবিধানিক মূল্যবোধও গুঁড়িয়ে দেওয়া হলোবলেন অশোক কুমার। সাবেক এই বিচারপতি জানান, এই রায়ের ভিত্তি হলো এএসআই (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)। সেখানে এএসআই বলেছে, ওই জায়গার নিচে কোনো একটা কাঠামো ছিল। কিন্তু সেই কাঠামো হিন্দুদের বা মন্দিরের কিনা সেটা বলেনি।

যেখানে সুপ্রিম কোর্ট বলছে যে, হিন্দুদের যে দাবি সেই দাবির ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। তাহলে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে তো কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায় না। বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে কি কারো মালিকানা ঠিক করা যায়? বলেন অশোক কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে আজ অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে একটি ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের রায় দেয় আদালত। একই সাথে মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলমানদের জন্য আলাদা জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here