আমতলীতে ৪৩ টি জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান শঙ্কায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

0
আমতলীতে ৪৩ টি জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান শঙ্কায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুঃ আঃ মোতালিব তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ আমতলী উপজেলার ৪৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। শ্রেনী কক্ষের ব্যবস্থা না করেই ওই বিদ্যালয়ের ভবনগুলো পরিত্যাক্ত ঘোষনা করায় বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবন শঙ্কায় রয়েছেন। দ্রুত বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান অব্যাহত রাখতে সাময়ীক শ্রেনী কক্ষ ও নতুন ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ১৫৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ টি বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ। শ্রেনী কক্ষের ব্যবস্থা না করেই ওই বিদ্যালয়ের ভবনগুলো পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এতে বিদ্যালয় পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ওই জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন।

এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান তারা।জরাজীর্ণ ভবনগুলো হলো উত্তর টিয়াখালী, চলাভাঙ্গা, মহিষডাঙ্গা, উত্তর পশ্চিম ছোটনীলগঞ্জ, শারিকখালী, ছোট নীলগঞ্জ, ছোট নাচনাপাড়া, পুর্ব কেওয়াবুনিয়া, খোন্তাকাটা বেগম নুরজাহান, উত্তর গেরাবুনিয়া, পশ্চিম সোনাখালী, কুকুয়া গোজখালী, রায়বালা, কালিবাড়ী, পুর্ব কালিবাড়ী, পশ্চিম কলাগাছিয়া, উত্তর পুর্ব কলাগাছিয়া, দক্ষিণ গুলিশাখালী, উত্তর আঙ্গুলকাটা, উত্তর ডালাচারা, ফকিরখালী, ডালাচারা, পুর্ব চাওড়া, পুর্ব চন্দ্রা, চাওড়া চলাভাঙ্গা, ঘটখালী কালিবাড়ী, হলদিয়া হাট, দক্ষিণ কাঠালিয়া, হলদিয়া গুরুদল, উত্তর রাওগা, কেওয়াবুনিয়া একতা, দক্ষিণ রাওঘা, পশ্চিম চিলা খাসতবক, চিলা এইচবি, পশ্চিম সোনাউডা, উত্তর পুর্ব টেপুরা, উত্তর রাওঘা, পশ্চিম চিলা, উত্তর পুর্ব চিলা, দক্ষিণ টেপুরা, পুর্ব হলদিয়া, বালিয়াতলী, দক্ষিণ বালিয়াতলী ও দক্ষিণ ঘোপখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস নতুন ভবন চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা পাঠিয়েছে কিন্তু অধিদপ্তর কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলেও সাময়ীকভাবে শ্রেনী কক্ষের ব্যবস্থা করেনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। উপায় না পেয়ে শিক্ষকরা পরিত্যাক্ত ভবনে পাঠদান করাচ্ছেন। বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পরে শ্রেনী কক্ষ ডুবে যায়। ভবনের পলেস্তারা ধসে পরছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষকরা ওই জরাজীর্ণ ভবনেই পাঠদান করাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, তিন বছর পুর্বে বিদ্যালয় ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু সাময়ীকভাবে ক্লাস নেয়ার কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। অফিসকে না জানিয়ে নিরুপায় হয়েই পরিত্যাক্ত ভবনেই পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জীবন শঙ্কায় রয়েছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা আরো বলেন, একটু বৃষ্টি হলেও পানিতে শ্রেনী কক্ষ ডুবে যায়।

পাঠদান করানোর মত কোন অবস্থা থাকে না। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান তারা। দক্ষিণ আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী আক্তার বলেন, জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান বন্ধ রেখেছি। দুই কক্ষের একটি ভবনে শিক্ষার্থীদের স্থান সংঙ্কুলন হচ্ছে না। দ্রুত নতুন ভবন দেয়ার দাবী জানান তিনি।

আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম বলেন, উপজেলার ৪৩ টি পরিত্যাক্ত জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা করে অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। তারাই নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিবেন।

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here