না’গঞ্জে গণবিদ্যা নিকেতনে অভিযোগের ঘটনার তদন্তে স্ব-শরীরে জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনূস ফারুকী

0
না’গঞ্জে গণবিদ্যা নিকেতনে অভিযোগের ঘটনার তদন্তে স্ব-শরীরে জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনূস ফারুকী

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা:নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযোগের ঘটনার তদন্ত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনূস ফারুকী। ১৯ জুন সোমবার সকাল ১১টায় স্ব-শরীরে গিয়ে তিনি ওই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।

এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির (এডহক কমিটি) সভাপতি আলহাজ¦ ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলু, সদস্য হারুনুর রশীদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল জাব্বার এবং অভিযোগের বাদী ম্যানেজিং কমিটির সাবেক অঊিাবক সদস্য আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া সহ অন্যান্য সদস্য ও শিক্ষক মন্ডলীরাও উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত পর্যালোচনা শেষে জেলার নবাগত শিক্ষা অফিসার ইউনূস ফারুকী উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত দিনের কর্মকান্ড থেকে প্রতীয়মান হয় গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ।ক্ষুদ্র মত পার্থক্যের কারণে হয়তো নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি অচিরেই তাদের ভুল বুঝাবুঝি নিস্পত্তি করে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সবাই মিলে মিশে কাজ করবে। তাদেরকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

স্কুল কমিটি নিয়ে আদালতে যে মামলা বিচারাধীন রয়েছে বাদী সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেই বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের এডহক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলু বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার তার নিয়মের তদন্ত করে গেছেন। এখানে কে কি চিন্তা ভাবনা নিয়ে কাজ করছে জানিনা। তবে আমি প্রকৃত অর্থে চাই বিদ্যালয়টি তার আগের ঐতিহ্যে ফিরে আসুক। লেখা-পড়ার মান বাড়ুক। সকলে মিলে মিশে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রাখুক।

বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় নিয়েই আমার এখানে আসা। এক কথায় আমি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন চাই।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জাব্বার বলেন, আমি বরাবরই বিদ্যালয়ের ভাল চেয়েছি এবং ভাল করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাকে কিছু লোক সেই ভাল কাজ করতে বাঁধাগ্রস্থ করছে।এই প্রতিষ্ঠানের ভাল করতে গিয়ে আমার স্কুলের এক ছাত্রীর আত্নহত্যার মামলার আসামীও হতে হয়েছে আমাকে।

অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল আমাদেরকে হ্যারেজমেন্ট করার জন্য। সত্যিকার অর্থেই আমি বিদ্যালয়ের ভাল চাই সারাজীবন ভাল করারই চেষ্টা করবো।  উল্লেখ্য ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এই বিদ্যালয়। এক সময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি। যা বর্তমানে নেমে এসেছে সাতশ’র কোঠায়। তবে শিক্ষার মান বরাবরের ন্যায় ভাল।

বিদ্যালয়ের অঊিাবক মহল,নগরীর শিক্ষানুরাগীগন এবং সাবেক ছাত্র ছাত্রীদের অভিমত এখনো সময় আছে। সকলের একান্তিক প্রচেষ্টা যদি থাকে এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় একটি নির্বাচিত পরিষদ দায়িত্ব পালন করে তাহলে অচীরেই গনবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় আবারো পূর্বের ন্যায় একটি আদর্শ ও মানসম্মত সু-শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here