প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। এখানে আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সকালের শীত উপেক্ষা করে সংবর্ধনা নিতে এসেছে জেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে এবং শিক্ষার ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় জিপিএ-৫ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।মুন্সিগঞ্জ শিল্পকলায় উৎসবে অংশ নিতে জেলার জিপিএ-৫ পাওয়া ৪০৬ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। সকালের সূর্য আলো ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে মাঠে হাজির হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা,গল্প,হাসাহাসি আর সেলফি তোলায় মেতে ওঠে তারা।
শুরু থেকে শিল্পকলা প্রাঙ্গনে সুসজ্জিত ৭টি বুথ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নাশতা তুলে দিচ্ছেন মুন্সিগঞ্জ বন্ধুসভার সদস্যরা।লৌহজং এর কাজির পাগলা অভয় তালুকদার ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে হৃদিতা ইসলাম। সে জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গোলয়ালিমান্দা বাজার থেকে আরো চার কৃতি শিক্ষার্থী মো.শাকিল,রেশমি ইসলাম,মিথিলা মন্ডল,আরশি আলম সঙ্গে উৎসবে এসেছে। হৃদিতা বলে, আমি এখন লৌহজং সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছি। অন্য বন্ধু ভর্তি হয়েছে জেলার বিভিন্ন কলেজে।অনেক দিন হলো কারো সঙ্গে দেখা হয়নি। উৎসবে এসে অনেক বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলো। সেলফি তুললাম,মজা করলাম।
সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকা থেকে এসেছেন রিয়ানা আক্তার। তিনি জানান, এর আগে কত মানুষকে সংবর্ধনা দিতে দেখেছি।কত মানুষের জন্য হাতে তালি দিয়েছি।তখন থেকে এমন সংবর্ধনা পাওয়ার লোভ জাগত। এ বছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ায় প্রথম আলো থেকে সংবর্ধনা পাচ্ছি। সত্যি অসাধারণ এক অনুভুতি।শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কুর্মিরা গ্রাম থেকে সকালে উৎসবে এসেছে এরাবিয়ান বেপারি,নাহিদ হাসান,নাফিয়ান। তারা আড়িয়ল স্বর্ণময়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এরাবিয়ান বলে, এমন উৎসবে আগে কখনো আসিনি। জীবনে প্রথম এ ধরনের বড় অনুষ্ঠানে এলাম। এখানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, জীবনের প্রথম সফলতার শুরুটা এখান থেকে। শিল্পী আক্তার তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে ইসফার প্রধানকে নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান দেখতে এসেছেন।শিল্পী আক্তার বলেন, কত ছেলে মেয়েরা জিপিএ ৫ পেয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে।ছেলেকে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠান দেখাতে।কৃতি শিক্ষার্থীদের দেখাতে।এতে আমার ছেলে উৎসাহিত হবে।
আমি চাই আগামী বছর ইসফারও এভাবে সংবর্ধনা পাক।দিনব্যাপী সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স, ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস বক্স।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্য মাশফিক সিহাব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সাল হোসেন। শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিতে উৎসবস্থলে উপস্থিত হয়েছেন প্রথম আলোর ট্রষ্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা, মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্নেহাশিস দাশ,সনাকের সহসভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সহিদ ই হাসান, মুন্সিগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুজন হায়দার,ক্রিয়াবিদ আয়নায়ল হক,সংগিত শিল্পী শিশির রহমান প্রমুখ।