তালতলীতে ক্ষমতার দাপটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নন এমপিও শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান

0
তালতলীতে ক্ষমতার দাপটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নন এমপিও শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার কারণে কোনো এক অজানা, অদৃশ্য ও অপশক্তির প্রভাব খাটিয়ে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উপজেলা সদরে বেগম নূরজাহান নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শাহ্ নুরজাহান বেগম দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে আছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চেয়ার।

প্রায় ৩ বছর এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় বিদ্যালয়ের কাজে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বেগম নূরজাহান নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ২০০৩ সালে স্থাপিত হয়। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি এম.পি.ও.ভুক্তির আবেদন করলে ২০২২ সালের ৬ জুলাই শাহ্ নুরজাহান ছাড়া অন্যান্য শিক্ষকরা এমপিও ভুক্তি লাভ করেন।

এ সময়ে শাহ্ নূরজাহানের কাগজপত্র জটিলতার কারণে তিনি এমপিও ভুক্ত হতে না পারলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করে তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ( ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও সংশোধিত এম.পি.ও নীতিমালা ২০২১ এর ১৩ অনুযায়ী এম.পি.ও. ভুক্ত শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালনের ব্যাখা রয়েছে।

অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা তাঁদের সংশ্লিষ্ট পদে প্রথম এম.পি.ও. ভুক্তির তারিখ থেকে গণনা করা হলেও নন এম.পি.ও শিক্ষিকা শাহ্ নূরজাহান অলৌকিক ক্ষমতা বলে এখনো প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে গমনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ক্লাস চলাকালীন সময়ে তিনি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী খুঁজতে গিয়েছেন। যাহাও শিক্ষা নীতিমালা বহির্ভূত।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে এসে হাজিরা দিয়ে প্রতিদিনই কোথায় যেন যান। ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত থাকা এ সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করলে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ৩ জন। ৭ম শ্রেনীতে ১ জন। ৮ম শ্রেনীতে কেউ নেই এবং ৯ম শ্রেনীতে ৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ নূরজাহান এর কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানায়।

তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন এ বিষয়ে কিছু বলার দরকার নেই তবে আমরা একসাথে বিকেলে অথবা কাল চা খাব। এ বিদ্যালয়ের গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, নীতিমালা বহির্ভূত কাজ করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক উপ-পরিচালক মাহবুবা হোসেন বলেন, বেগম নুরজাহান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আমি কখনো ভিজিট করিনি। এই বিষয় গুলো আমার জানা নেই। আপনারা এই বিষয়ের ওপর রিপোর্ট করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here