প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর(ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ঃ বিদ্যালয়ের পুরাতন টিন সেডের ভবন ভেঙ্গে লোহার এ্যাঙ্গেল,টিন ও জানালা নিজ বাড়ীতে নিয়ে গেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক। তিনি নিজ বাড়ীর গেটও তৈরী করেছেন বিদ্যালয়ের টিন ও লোহান এ্যাঙ্গেল দিয়ে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শওকত আলী ও মুকুল মিয়া জানান, জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন টিন সেডের ভবনটি ভেঙ্গে ভবনের ১৬টি লোহার জানালা, ছোটবড় ৯০টি লোহার এ্যাঙ্গেল ও ৪৬টি টিন নিজ বাড়ীতে নিয়ে যান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক।
তারা আরো জানান, এ বিষয়ে একাধিকবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হককে বিদ্যালয়ের জিনিসপত্র বিদ্যালয়ে ফেরত নিয়ে আসার কথা বললেও তিনি এখনও পর্যন্ত নিয়ে আসেননি। যার কারনেই আমরা জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির (এ্যাডহক) কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরা নিরুপায় হয়েই সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বিদ্যালয়ের জানালা, টিন আর লোহার এ্যাঙ্গেল বাড়ীতে রাখার কথা অস্বীকার করে জানান, যা করেছে আমার আগের প্রধান শিক্ষক করেছে। আমি কিছুই করিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেতা হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ জানান, আমার অফিসে জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।