প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীরা।শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার থেকে বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে বটতলা এবং চৌরঙ্গী হয়ে ছাত্রীদের আবাসিক হলের সামনে দিয়ে শহিদ মিনারে অবস্থান নেন। পথে শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত কণ্ঠে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল ঘটা কুমিল্লাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার দ্রুত বিচার চাই, আমাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক এক দফা দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা করো কাছে মাথা নত না করে আন্দোলন চালিয়ে যাব ।
দাবি আদায় না করে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরব না । ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। ২০১৮ সালে যখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে কোটা সংস্কার চেয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রী সকল কোটা বাতিল করে এর সমাধান দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা যৌক্তিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছি, কিন্তু পুলিশ সেখানে হামলা করেছে।
আমরা হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটা রেখে সংসদে অবিলম্বে আইন পাস না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। তৌহিদ মাহমুদ সিয়াম বলেন , পুলিশ আমাদের গতকাল বাধা দিয়ে আমাদের দমিয়ে দিতে চেয়েছিল ,কিন্তু তারুণ্যের আন্দোলন পুলিশকে হারিয়ে দিয়েছে । এর পরেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আহত ও গ্রেফতার হয়েছে।
আমাদের ভাইদের উপর নৃশংস হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাই এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচার এর আয়তায় আনার দাবি জানাই। সেই সাথে সংসদে আইন পাশ করার মাধ্যমে কোটা সংস্কার করতে হবে। আমরা আন্দোলনের মাঠ থেকে দ্রুতই ক্লাসে ফিরতে চাই।
উল্লেখ্য, ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।