প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে র্যাব-১১ এর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে ১৪টি ড্রাম ভর্তি ২৭শ ২০ লিটার চোরাই সোয়াবিন তেলসহ চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় এসময় চোরাই কাজে ব্যবহৃত ০১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়। ২৯ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মন্টু মিয়া, মিজান হাওলাদার, মাসুম হোসেন মোল্লা ও মানিক।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত’দেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, রূপগঞ্জে অবস্থিত শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ে সয়াবিন তেলের কারখানা গড়ে উঠেছে। এই তেলের কারখানাগুলোতে প্রতিদিন গভীর সমুদ্র বন্দর হতে আমদানিকৃত অপোরিশোধিত সয়াবিন তেলভর্তি শত শত তেলের লাইটার জাহাজ আসে। পণ্য খালাসের জন্য লাইটার জাহাজগুলো কারখানার পাশে নদীতে নোঙ্গর করা থাকে।
রূপসী এলাকায় নোঙ্গর করা এই সকল তেলের লাইটার জাহাজ হতে দীর্ঘদিন যাবৎ তেল চুরির একটি সিন্ডিকেট অসাধু কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে তেল চুরি করে বিক্রি করে আসছে। লাইটার জাহাজের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে বিশেষ কায়দায় মোটর সেট করা নৌকা ব্যবহার করে তারা নোঙ্গর করা অপোরিশোধিত সয়াবিন তেল ভর্তি তেলের লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে এবং চোরাইচক্র আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যএই চোরাই তেল কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে।
র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল কর্তৃক দীর্ঘদিন এই চোরাই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারী করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে শুক্রবার ভোরে উপজেলার রূপসী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙ্গর করা লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে ড্রামভর্তি অবস্থায় বিক্রয়কালে হাতে-নাতে উক্ত চোরাই চক্রের ওই চার জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ উপায়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে চালিত তেলভর্তি লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে এবং মজুদ করে অবৈধভাবে কেনাবেচা করে আসছে। এই চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।