প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ রূপগঞ্জ প্রতিনিধি তানজিলা আক্তার : করোনার কারণে ৬০ শতাংশ বাস ভাড়া বাড়লেও আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছামত। কারণ বাসে দৃশ্যমাণ নয় ভাড়ার তালিকা। আবার মাঠে তদারকি করারও কেউ নেই। এমনতাবস্থায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম রাস্তায় কোথাও না কোথাও বাস ভাড়া নিয়ে যাত্রী এবং চালকদের কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।
কিন্তু এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো যদি দিন দিন বাড়তে থাকে তখন সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়ায়! তাই এখন সকলেই এর সমাধান চাইছে। বলছেন,বাসের ভাড়া নিয়ে বাসের কন্ট্রাক্টর এবং যাত্রীদের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে হলে এখন শুধু নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলীর প্রয়োজন।
যা কিনা এর সমাধান করতে পারে। যাত্রীদের মতে অধিকাংশ বাসের কন্ট্রাক্টর নির্ধারিত ভাড়া নিতে নারাজ। তারা উল্টো যাত্রীদের কাছ থেকে তাঁদের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। অধিকাংশ বাস কন্ট্রাক্টর হয়তো বাসে উঠার আগেই যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করে।
তাই বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। আখি নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন,বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়ার আবদার করলে চলে কিন্তু তা না করে করোনা ভাইরাস মহামারিতে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। আমরা তো চাকুরীজীবী আমাদের বেতন কম। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় আমাদের ঘরে তো খাবারই ছিলো না। আবার অতিরিক্ত ভাড়া দিবো কিভাবে।
ধর্মীয় উৎসবগুলোতে ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা দিতেও কেউ কৃপণতা দেখায়নি। কিন্তু এখন এই মহামারিতে ১০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা আদায় করাটা; কেউ মানতে পারছে না। এ নিয়ে অনেকটাই ক্ষুব্দ যাত্রীদের মাঝে। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ভূলতা গাউছিয়া মার্কেটের সামনে দেখা যায়, ভাড়া নিয়ে এক যাত্রীর সাথে বাস কন্ট্রাক্টরের তর্ক-বিতর্ক চলছে। বাস কন্ট্রাক্টরের দাবি ভাড়া বেড়েছে আর বাড়তি ভাড়া দিয়েই চলাচল করতে হবে যাত্রীদের। তিনি আরো বলেন, আমাদের ভাড়াই শুধু বাড়েনি চাঁদাবাজদের চাঁদাও বেড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে আমরা প্রতিদিন চলাচল করি। ঢাকা থেকে গোলাকান্দাইল স্ট্যান্ড পর্যন্ত ১০ জায়গায় পঁঞ্চাশ টাকা হইতে একশ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।
তাই আমাদের ভাড়া একটু বেশি দিতে হয়! কিন্তু যাত্রীরা সেটা মানতে নারাজ। বাস কন্ট্রাক্টর কমে নিবে না বলে দেয় যাত্রীকে। যাত্রী বলে যেইটা নেয্য ভাড়া আমরা অইটা দিবো। এক কাঁপড় বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, আমি একজন খুচরা কাঁপড় বিক্রেতা, গাউছিয়া মার্কেটে একটু সস্তায় পাই বলে এখানে আসি। তাই বলে বেশি ভাড়া দিতে হবে। পাঁচরুখী এলাকার কামাল হোসেন বলেন, এখন বাসে উঠলেই ৩০ টাকার কমে কোথাও যাওয়া যায় না ! যদি আপনি দুই মিনিটের পথও অতিক্রম করেন সেটা তাদের দেখার বিষয় না। তাই আমি মনে করি, যদি নির্ধারিত একটি ভাড়ার ব্যাবস্থা করে দিতো তাহলে ভালো হতো।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, সরকারিভাবে ভাড়া যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাই নিতে হবে। যদি কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।