এমপি মন্ত্রীর পর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন: গাজী গোলাম দস্তগীর

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ টানা তিনবারের এমপি। এবার হয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী কিন্তু তার পরেও ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। এবার মন্ত্রীর মত মর্যাদায় থেকেও হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বন্ধ হয়ে গেল নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ। সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে গোলাম দস্তগীর গাজী ও বর্তমান সেক্রেটারী শাহাজাহান ভূইয়া একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০ টায় রূপগঞ্জ বাজারস্থ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল।
সম্মেলন সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান ভূইয়া। আনন্দমুখোর পরিবেশে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নেতারা।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ সূত্রে জানায়, ১৯৯২ সালে আব্দুল মোতালিবকে সভাপতি ও শাজাহান ভূইয়াকে সাধারন সম্পাদক এবং এনামুল হক ভূইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে রূপগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে পুরানো কমিটির কয়েকজনকে সংযোজন ও বিয়োজন করে আবারো নতুন কমিটির ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আব্দুল মোতালিবকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০০৪ সালে সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। এর পরে দীর্ঘ প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও তিনি ভারমুক্ত হতে পারেননি। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিলেও কোন্দলের কারণে কমিটি করা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু একজন মন্ত্রী হিসেবে গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য তেমন কিছু করতে পারছেন না। কোন কিছুতেই তার কোন ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে না। সেই সাথে সাংগঠনিকভাবে নারায়ণগঞ্জ আওয়মীলীগকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে নারায়ণগঞ্জবাসীর মন্ত্রীত্বের স্বাদ মিটলেও তাদের স্বপ্ন আর পূরণ হচ্ছে না।

জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় আসলেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ মন্ত্রীত্বের স্বাদ থেকে বারবার বঞ্চিত হয়ে আসছিল। যদিও নারায়ণগঞ্জ বিএনপি কয়েকবার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর স্বাদ পেয়েছিল তবে সেটা অনেক আগে। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের স্বাদ ছিল মন্ত্রীত্ব পাওয়া। শেষ পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বাদ পূরণ হলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here