নাঃগঞ্জ বিসিকে জে.কে নিট ফেব্রিক্স প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরিন বিরোধে তালা

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃনিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্প নগরীর ২ নং রোডে ১৪১ নং “জে.কে নিট ফেব্রিক্স” নামক প্রতিষ্ঠানের দুইজন অংশীদার মোঃ হেলাল খাঁন ও মোঃ জাহিদ পার্টনারে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি উভয় পার্টনারের মধ্যে ব্যবসায়ীক টাকা লেন-দেনের সূত্রধরে মনোমালিন হওয়ার কারনে এক সাথে ব্যবসা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের কাছে “জে.কে নিট ফেব্রিক্স” এর অংশীদার মালিক মোঃ হেলাল খান একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংগঠনের সভাপতি মোঃ নিজাম মুন্সি উপস্থিত স্বাক্ষী মোঃ আবুল বাশার, জাহাঙ্গীর, রফিকুল ইসলাম রফিক ও মোঃ কবির হোসেন ভূইয়া’র শালিশের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। কিন্তু জে.কে নিট ফেব্রিক্স এর অপর আরেক কর্ণধার মোঃ জাহিদ এর সাথে পার্টনার মোঃ হেলাল খানের আর্থিক লেনদেন থাকায় বিষয়টি নিয়ে সংর্ঘষের আশংঙ্কা করছে ব্যবসায়ী মহল।

বুধবার ২৩ মার্চ সকালে প্রতিদিনের ন্যায় জে কে নিট ফেব্রিক্স এর শ্রমিক কর্মাচারীগণ কাজে যোগদান করতে গেলে তাদেরকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিষ্ঠানের অপর অংশীদার মোঃ জাহিদ এর বিরুদ্ধে। তিনি আরেক অংশীদার মোঃ হেলাল খান এর কাছে ব্যবসায়ীক মূলধন নগদ টাকা ও ব্যাংক চেক পাওনা রয়েছে বলে শ্রমিক কর্মচারীদের কাছে জানান। এ সময় তিনি জে.কে নিট ফেব্রিক্স প্রতিষ্ঠানের মেইন গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

সংবাদ পেয়ে সংবাদকর্মীগণ তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে উপস্থিত হলে প্রতিষ্ঠানের পার্টনার মোঃ জাহিদ জানান, পার্টনারদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন থাকার কারনে এবং অপর পক্ষকে দীর্ঘদিন জানানোর পরেও কোন প্রকার কর্ণপাত বা মিমাংশা না করায় অবশেষে তালা মারতে বাধ্য হই। আমার সাথে লেনদেন শেষ করলেই আবার জে.কে নিট ফেব্রিক্স প্রতিষ্ঠানের তালা খোলা হবে।

এ বিষয়ে জে.কে নিট ফেব্রিক্স প্রতিষ্ঠানের অপর পার্টনার মোঃ হেলাল খান জানান, এসোসিয়েশনের মাধ্যমে এর সুরাহা হয় কিন্তু পার্টনার মোঃ জাহিদ নিজ ক্ষমতা বলে প্রতিষ্ঠানটি দখল করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের ক্ষেত্রে দৈনন্দিন কাজের বিঘœ ঘটছে। আমি পার্টনার মোঃ জাহিদকে সকল পাওনা এসোসিয়েশনের মাধ্যমে পরিশোধ করেছি। তাছাড়া অদ্য তালা ঝুলিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকির প্রেক্ষিতে আমি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আশাকরি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here