ফতুল্লা থানা আ’লীগ নেতাদের জোর তদবীরে অবশেষে ফাতেমা মনির মুক্ত।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় থানায় ঢুকে পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আটক হওয়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের তদবিরে আটকের মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, এর জন্য ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগে সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের উপস্থিতিতে মুচলেকা রেখে ফাতেমা মনিরকে ছেড়েছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে শাহ নিজাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা থানায় আসি বিষয়টা কী, জানার জন্য। পরে কথা বলে জানতে পারি এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। পুলিশের গায়ে ফাতেমা মনির হাত তুলে নি। পরে ফাতেমা মনির এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং একটি মুচলেকায় তাকে পুলিশ ছেড়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জনৈক আসামীকে দেখেতে ফতুল্লা মডেল থানায় আসেন ফাতেমা মনির। এসময় তিনি আটক আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে চান। এ নিয়ে পুলিশের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ফাতেমা মনির হাজতের দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রির কাছ থেকে জোরপূর্বক চাবি ছিনিয়ে নেন এবং থানার লকাব খোলার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে চড়াও হন ফাতেমা মনির।

এসময় তার দ্বারা পুলিশের কনস্টেবল লাঞ্ছিত হন। পরে এই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ফাতেমা মনিরকে আটক করে পুলিশ। এদিকে ফাতেমা মনিরকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানিয়েছিলেন, পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে ফাতেমা মনিরকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন। তবে, সেই আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফাতেমা মনির থানা থেকে ছাড়া পাওয়ায় এ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকী পুলিশ সদস্যদের মাঝেও এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এদিকে ফাতেমা মনিরকে ছাড়ার প্রসঙ্গে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, তিনি থানার ভেতরে এসে উশৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন। বিষয়টা তার ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে তিনি ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এমন আচরণ আর করবেন না এই মর্মে মুচলেকা দিলে থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের জিম্মায় তাকে ছাড়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আসলে পুলিশকে মারধর করেছে এমন কোনো ঘটনা নয়। তিনি উশৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া তিনিও একজন জনপ্রতিনিধি এবং একজন মহিলা। সে দিক বিবেচনা করেই মুচলেকায় তাকে ছাড়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here