ফতুল্লা থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে ধর্ষণ মামলার আসামী শ্যামলকে ছাড়াতে যুবলীগের মাস্তানি।

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে পুলিশের সামনে যুবলীগ ক্যাডরদের মাস্তানি। সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে ফতুল্লা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও যুবলীগ ক্যাডাররা। এ সময় সাংবাদিকরা ক্যামেরা না দিতে চাইলে পরিস্থিতি ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তারা সাংবাদিকদের উপর একপর্যায়ে হামলা চালায়।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে থানা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে সাংবাদিকদের চাপের মুখে এক যুবককে আটক করা হয় ও আসামীর ছবি উঠাতে দেন পুলিশ। আটককৃত যুবকের নাম লিটন। তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের অনুসারী।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল এর ভাই খোকন, চুন্নু, সিদ্দিক, জাহাঙ্গীর ও আক্কার নেতৃত্বে আরো ১৫-২০ জন যুবক থানার ভিতরেই সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। চেষ্টা করা হয় ক্যামেরার ভেঙ্গে ফেলার। পুলিশ ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সাখাওয়াত হোসেন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় সাইফুল্লাহ বাদলের অনুসারী লিটন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাকে আটক করা হয়। পরে ইন্সপেক্টর সাখাওয়াতের সহযোগীতায় ছবি তুলেন সাংবাদিকরা।

এদিকে, দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফতুল্লা থানা থেকে চাচা শ্যামলকে জামাই আদরে এসি মাইক্রো বাসে করে আদালতে নেয়া হয়। মুখশ ও চাদরের আড়ালে আসামীকে আদালতের কাষ্টরীতে নেওয়া হয়। ওইখানেও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। ধর্ষণ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামীকে পুলিশের সহযোগীতায় মুখ ঢেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফতুল্লা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, মুখটি পুলিশ ঢাকেনি, আসামীই ঢেকে রেখেছিলেন।

আমি থানায় নেই। আমি শুনেছি, সাংবাদিকদের সঙ্গে এ সময় বহিরাগত কিছু লোক জনের ধস্তাধস্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আইনী পদক্ষেপ নিবো। এর আগে, ধর্ষণ ঘটনার বিচার করে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান ওরুফে দর্জি শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মুলত তার ছবি উঠাতে গেলেই ক্সিপ্ত হয়ে উঠে যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ ক্যাডাররা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here