প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা না’গঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর হাজীপাড়া কদম আলী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় কথিত যুবলীগ নেতার শেল্টারে ফেরদৌস আরা জমজমাট মাদক ব্যবসা করছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমজমাট মাদক ব্যবসা করে বর্তমানে সে অর্ধ কোটিপতি বনে গেছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। হঠাৎ সে এত টাকার মালিক কিভাবে হল? তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করছে। এলাকাবাসী অভিযোগে জানান, ভোলা জেলার দৌলতখাঁ থানার চরপাতা গ্রামের সিদ্দিক মুন্সির মেয়ে ফেরদৌস আরা।
বর্তমানে সে কাশিপুর হাজীপাড়াস্থ কদম আলী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বাস করছে। প্রায় ১০ বছর পূর্বে ফেরদৌস আরার স্বামী কাবির মুন্সি মারা যায়। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্বামী জীবিত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর ডিআইটি মসজিদ এলাকায় মুদি দোকানদারি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার সময় অনেক টাকা দেনাদার ছিলেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ফেরদৌস আরা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু কাপড়ের ব্যবসা করে কিভাবে সে অর্ধ কোটিপতি বনে গেল তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করছে। এলাকাবাসীর জানান, কাশিপুর বাংলাবাজার এলাকার কথিত যুবলীগ নেতারে ফেরদৌস আরা কাপড়ের ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবার ব্যবসা পরিচালনা করছে। যে কারনে দেনাদার স্বামীর মৃত্যুর কয়েক বছরের মধ্যেই সে বিশাল কালো টাকার মালিক বনে গেছে।
এলাকাবাসী অভিযোগে বলেন, সম্প্রতি ফেরদৌস আরা কাশিপুর হাজীপাড়া এলাকায় ১৫ লক্ষ টাকায় ১ তলা বিশিষ্ট বাড়িসহ ১ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। বর্তমানে ঐ বাড়িটিতে দ্বিতীয় তলার কাজ চলছে বলে সূত্রে প্রকাশ। তারা অভিযোগে আরো বলেন, ঐ বাড়িটি ক্রয়ের পাশাপাশি ফেরদৌস আরা ২৩ লক্ষ টাকায় ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। হঠাৎ করে সে লক্ষ লক্ষ টাকায় জমিসহ বাড়ি ক্রয় করায় এলাকাবাসী আশ্চর্য হয়ে পড়েছেন।
তারা অভিযোগে বলেন, ফেরদৌস আরা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কাপড়ের ব্যাগে ইয়াবা নিয়ে পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করে কয়েক বছরে অর্ধ কোটিপতি বনে গেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।