ফতুল্লায় সুরুজ মিয়া হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার- ৯

0
ফতুল্লায় সুরুজ মিয়া হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার- ৯

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া হত্যাকাণ্ডে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফতুল্লা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (০১ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ হাবিব (২০), মো. সোহেল (৩০), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনার (২৪), মোহাম্মদ ফয়সাল মোল্লা (৩২), ওয়াসেল হোসেন নাহিদ (২৭), মাসুদ (৫২), বাপ্পি (২৩), জামাল (৪৮) ও কাইয়ুম (২২)। পুলিশ জানায়, বিশেষ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামি নাহিদ, সোহেল, হাবিব, আনোয়ার ও ঘটনায় এজহার বহির্ভূত জড়িত মো. ফয়সাল মোল্লা, মাসুদকে গাজীপুর ও ফতুল্লা থানাধীন বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ২৯ জুন ফতুল্লা থানার একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় আসামি বাপ্পি ও জামালকে এবং গত ৩০ জুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে র‍্যাব-১১ চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন ওরফে হীরাসহ চার আসামিকে শনিবার (২৯ জুন) গ্রেপ্তার করেছে। সবমিলিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে। এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্না বাদি হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সালাউদ্দিন সালু ও হীরাসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২৭ জুন বৃহস্পতিবার) দুপুরে সুরুজ মিয়া আলীপাড়া জামে মসজিদে থাকাকালীন আলাউদ্দিন ওরফে হীরার নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন প্রথমে ভিকটিমের বড় ছেলে রাজু (৪৩) এবং ছোট ছেলে জনি (৪১)-এর পথরোধ করে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে।

হামলাকারীদের প্রত্যেকের হাতে রামদা, বগিদা, ছোরা,লোহার রড ছিল। একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি হীরা হাতে থাকা রামদা দিয়ে রাজুর মাথায় কোপ দিতে গেলে রাজু হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার হাতের কনুয়ের উপর আঘাত লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। অন্যান্য আসামিরাও রাজু ও জনিকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকে। নামায শেষে সুরুজ মিয়া ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তার উপরেও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

আত্মরক্ষার্থে সুরুজ মিয়া হামলাকারীদের একজনের হাত থেকে রামদা ছিনিয়ে নিলেও সন্ত্রাসীরা তার মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকায় ইট বালু সিমেন্টসহ ইমারত নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে সুরুজ মিয়ার বিরোধ সৃষ্টি ছিল। এর জেরে সুরুজ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সুরুজ মিয়া কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও স্থানীয় আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here