প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার সাব-রেজিস্টার অফিসের চলছে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম। প্রকাশ্যে দলিল প্রতি টাকা আদায়ের ভিডিও গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে। যদিও কর্মকর্তারা নগদ অর্থ আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে সরকারী ফি বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে সরকারী ফি হলে দরদামের কোন সুযোগ নেই যা ভিডিওতে লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে সাব-রেজিস্টার অফিসের দুর্নীতির বিষয়টি দৃশ্যমান হয়েছে।
গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে অবৈধ টাকা দেনদেনের চিত্র। সাব রেজিস্টার অফিসের সহকারী সুমীতি রানী দত্ত প্রকাশ্যে প্রত্যেক দলিল বাবদ ৫ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংকে টাকা আদায় করছেন।
তবে টাকার অংকের হিসেবে বড় দলিলে বেশি টাকা আর ছোট দলিলে তুলনামূলক কম টাকা আদায় করা হয়। এসময় উক্ত নারীকে ফি এর নামে দলিল প্রতি টাকা আদায় করতে দেখা যায়। এসময় একটি দলিলের ফি নিয়ে দরদামও করতে দেখা যায়। সমিতি ও অফিস ভাড়ার কথা উল্লেখ করে দরদামের মধ্য দিয়ে বেশি টাকা আদায়ের চিত্র দেখা যায়।সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন সাব-রেজিস্টার অফিসে সরকারী ফি আদায় করা হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমাদানের বিষয়টি স্পষ্ট থাকবে। এক্ষেত্রে দরদাম করার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু ভিডিওতে দরদামের বিষয়টি থেকে অবৈধ টাকা আদায়ের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। তাছাড়া ভিডিওতে ওই কর্মকর্তা সমিতি ও অফিস ভাড়ার খরচের কথা বলে বেশি টাকা আদায় করার দৃশ্যও দেখা গেছে।
এ ঘটনায় আড়াইহাজার সাব রেজিস্টার অফিসের সহকারী সুমীতি রানী দত্ত প্রথম দিকে টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সরকারী ফি আদায়ের কথা উল্লেখ করেন। তবে সরকারী ফি আদায়ের ক্ষেত্রে টাকা দরদামের বিষয়য়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে তিনি আগামী বুধবার অফিসে দেখা করতে বলেন এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের সাব-রেজিস্টার শফিউল বারী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে যথাযথ প্রমাণ থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথামিকভাবে তাকে শোকজ করা হবে।