আড়াইহাজারে ৩ হাজার পরোয়ানা তামিলে কাজ করছে পুলিশ : ওসি নজরুল ইসলাম

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ২টি পৌরসভা নিয়ে আড়াইহাজার উপজেলা গঠিত। এখানকার মানুষ নানা পেশার সাথে জড়িত। সর্বত্রই লেগেছে কমবেশিীউন্নয়নের ছোঁয়া। আগের তুলনায় বেড়েছে শিক্ষার হার। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো বলা চলে। আগের তুলনায় বেড়েছে পুলিশের সেবা। অর্থ ছাড়াই করতে পারছে ডিজি। যে কোনো ঘটনায় সহজেই পাওয়া যাচ্ছে আইনি সেবা। এক সময় এ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এখন তা অনেকাংশেই কমে এসেছে।

পূর্বের তুলনায় মাদকদ্রব্য বিক্রির হার বৃদ্ধি পেলেও তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রতিদিনই চালানো হচ্ছে অভিযান। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে মাদক বিক্রেতাদের। কোনো প্রকার তদবির আমলে নিচ্ছে না পুলিশ। মাদকসেবী কিংবা বিক্রতা যাকেই আটক করা হচ্ছে দেওয়া হচ্ছে মামলা।
তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়তই ঘটছে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ। মারামারি ঘটনা নিয়ন্ত্রণেও পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তৎপতা বৃদ্ধিতে আইনি সেবা পাচ্ছে ভুক্তভোগীরা। এতে পুলিশের প্রতি বাড়ছে আস্থা। তারপরও থানায় অথবা নারায়ণগঞ্জের আদালতে অনেকেই বিভিন্ন অভিযোগে করছেন মামলা। জারি হচ্ছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

বুধবার (২৩ আক্টোবর) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে ৩ হাজার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে (সিআর) মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ১ হাজার ও জিআর মামলায় জারি করা হয়েছে ২ হাজার। তবে এসব পরোয়ানা তামিল করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন আড়াইহাজার থানার পুলিশ পরোয়ানা তামিল করতে তৎপরতা চালিয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে পরোয়ানা ভুক্ত আসামিদের।

আড়াই হাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম থানায় যোগদানের পর যে কোনো অপরাধ কঠোরহস্তে দমন করছেন। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের এ কর্মকর্তা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে তার দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো প্রকার তদবিরকে তিনি আমলে নিচ্ছেন না। এতে করে স্থানীয় মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। কমে আসছে মাদকের ছোবল।গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য তিনি প্রতিদিন তার অধিনস্থ পুলিশ অফিসারদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় থানায় পুলিশের ১০ জন অতিরিক্ত সদস্য নিয়োজিত করেছেন। এতে আমাদের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্যারের কঠোর নির্দেশনাও রয়েছে। এতে প্রতিদিনই পুলিশের অভিযান চলছে। এরই মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হারে আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে অনেকেই আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিচ্ছেন। এতে ক্রমান্বয়ে আমাদের পরোয়ানার পরিমাণ কমে আসছে। একইভাবে ডাকাত নিমূর্লেও পুলিশের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে রাতের টহল। গ্রহণ করা হচ্ছে বিভিন্ন কৌশল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here