গৌরীপুরে কিংশুক সমবায় সমিতির ৪শ গ্রাহকের কোটি টাকা সঞ্চয় ফেরতে হয়রানি !

0
গৌরীপুরে কিংশুক সমবায় সমিতির ৪শ গ্রাহকের কোটি টাকা সঞ্চয় ফেরতে হয়রানি !

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মো: মাহফুজুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: আমার টাকা আমাকে দেন, নইলে ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিবো’এমন হুশিয়ারী দিয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কিংশুক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কিংশুক সমবায় বিকাশ কেন্দ্রের সদস্যরা। এছাড়াও বুধবার (২৭ মার্চ/২৪) গৌরীপুর মধ্যবাজারস্থ কার্যালয়ে টাকা ফেরতের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ভুক্তভোগী সদস্যরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গৌরীপুর কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক খালেদা বেগম। তিনি বলেন, একজনের দুই লাখ টাকা পাওনা ছিলো, সে আত্মহত্যা হুমকি দেয়ায় তার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। এখন আরও অনেকেই আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও জানান, এ সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় চারশতো। তাদের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৮০লাখ টাকা। প্রায় এক বছর ধরে সদস্যরা জমাকৃত অর্থের টাকা ফেরত চাচ্ছেন। কিন্তু সমিতির ক্রয়কৃত জমি বিক্রি না হওয়ায় টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিবাদ সমাবেশের সদস্যরা বলেন, হয় টাকা দাও, নইলে এ ভবনের ছাদে উঠে আত্মহত্যা করবো। সমিতির সদস্য সূর্য্যাকোনা গ্রামের সন্তুষ ভৌমিকের পুত্র সুমন ভৌমিক বলেন, সঞ্চয় করেছিলাম, এক সঙ্গে নিবো। দুই বছর ধরে ২হাজার/৩হাজার করে ২৫হাজার টাকা নিয়েছি। এখনও প্রায় ১০হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। হাতেম আলী সড়কের ব্যবসায়ী মো. তৌহিদুল আমিন তুহিন জানান, ১৭হাজার টাকা পাই, আজ-কাল করে ৬মাস ধরে ঘুরাচ্ছে। সমিতির ৩২৯১৮নং সদস্য জিয়াউর রহমান হিরার প্রায় ৫০ হাজার টাকা, নাজমা আক্তারের ৩৮হাজার টাকা, সোলায়মানের ১৭হাজার ৫শ টাকা, মিন্টু সরকারের ৩২হাজার টাকা পাওনা।

তারা বলেন, প্রতিদিন এলেই বলে দিবো, ম্যানেজারকে পাওয়া যায় না। আমরা আমাদের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে শংকিত। সমিতির আরেক সদস্য হুমায়ুন কবীর বলেন, ব্যাংকের মতো চুক্তিভিত্তিক সাধারণ পলিসি, শিক্ষা পলিসি, মুদরারাবা সাধারণ ও শিক্ষা পলিসি, মুদারাবা লাখোপতি পলিসি খাতে ৩বছর মেয়াদী ১৩শতাংশ লাভ দেখিয়ে কোটি টাকা গ্রাহকদের নিকট থেকে নেয়া হয়েছে। সমিতির মাঠকর্মী তাহমিনা আক্তার জানান, আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সমিতিকে অবহিত করেছি।

আমাদের চাহিদা ৪০লাখ, টাকা পাঠায় মাত্র ৫০হাজার, তাই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে কিংসুক কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হাজী মো. আমিনুল ইসলাম খান জানান, আামি তো ১০মাস আগেই এ সমিতি ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়াও সমিতির হিসাব শাখায় কর্মকর্তার তালিকায় থাকা নুরুন নাহার তিনিও জানান, চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি নাজমুল আলম ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফ উজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও রিসিভ করেন নাই।

কেন্দ্রীয় সমিতির প্রশাসন মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মৃধা জানান, আপনি যে সমস্যা বলছেন, তা সমাধানের সুযোগ আমার নেই। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা অবহিত করে জরুরী পদক্ষেপ নিতে বলবো। এ প্রসঙ্গে গৌরীপুর উপজেলা সমবায় অফিসার ফাহমিদা আক্তার লিমা জানান, কিংসুক জাতীয়পর্যায়ের সমিতি এটা নিয়ন্ত্রণ করে সমবায় অধিদপ্তর। আমাদের কিছু করার নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here