প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে মাকে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। এ সময় মাকে বাঁচাতে এসে ধারালো দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন জান্নাত বেগম নামের আরও এক নারী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাকে খুন করার ঘটনায় ছেলে মো. রাহাত (২৮) নামের যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জয়া গ্রামের ছবর আলী হাওলাদার বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জয়া গ্রামের ছবর আলী হাওলাদার বাড়ির দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৫০)। আহত জাহানারা বেগম একই গ্রামের নাজু মৃধার স্ত্রী।
আটককৃত ঘাতক মো. রাহাত হোসেন ওই গ্রামের দুলাল হাওলাদারের ছেলে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, বহুদিন থেকে ঘাতক রাহাত মানুষিক সমস্যায় ভুগছিল। সাত-আট বছর আগে মানুষিক রোগে সে রাস্তা ঘাটে পাগলের মত হাঁটচলা করতো। তবে গত তিন-চার বছর মোটামুটি ভালো ছিল।হত্যার দিন রাহাত ঢাকায় কামরাঙ্গীর চরের তাদের মুদি দোকান থেকে কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে চলে আসে ।
সোমবার বিকেলে স্থানীয় শান্তির হাঁট বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়িতে আসলে মা নাসিমার সাথে রাহাতের মাছ রান্না ও চিকিৎসার বিষয় নিয়ে বাকবিত-া হয় । এক পর্যায়ে রাহাত উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মা নাসিমার মাথা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে। মা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে চাইলে ধারালো দায়ের কোপে দুই হতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । ঘাতক রাহাতের দায়ের কোপে মা নাসিমা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
পাশ্ববর্তী ঘরের নাজু মৃধা জানান, তার স্ত্রী জান্নাত বেগম ডাক চিৎকার শুনে মা নাসিমাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে । জান্নাতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নিলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন । বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন ফকির বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।
স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাহাত কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। সে পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে। এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।