বরগুনার তালতলীতে খালাকে হত্যা করে সহযোগি খুনিকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম-পুলিশ

0
বরগুনার তালতলীতে খালাকে হত্যা করে সহযোগি খুনিকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম-পুলিশ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে জমিজমার জন্য আপন খালাকে হত্যা করে কানের রিং বিক্রি করে সহযোগি খুনিকে পালাতে সহযোগিতা করেন মালেক (৩৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে মালেককে (৩৮) গ্রেফতার করে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ।দীর্ঘদিন পরে হত্যার রহস্য উম্মচন হওয়ায় সঠিক বিচারের দাবি পরিবারবের।

উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে মালেককে গ্রেফতার করে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগের দিন শুক্রবার রাতে হত্যাকান্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খানকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করা হয়।জানা যায়, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবুনিয়া এলাকায় গত বছরের ৩ এপ্রিল সোমবার রাতে সন্তানের পায়ের নুপুর তৈরি করার টাকা জোগাড় করতে বাড়ি থেকে বের হলে সেই থেকে নিখোজ থাকেন সাফিয়া বেগম।

৫ই এপ্রিল বুধবার দুপুরে দক্ষিণ নলবুনিয়ার একটি খালে ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই পরিকল্পিত হত্যাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য আপন মামা ইউনুস চৌকিদারকে বাদী করে প্রতিপক্ষের ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন গ্রাম পুলিশ আঃ মালেক। এতে সোনা মিয়া,জাফর, সিদ্দিক ও ফারুক ঘরামীকে আসামী করা হয়।

সাফিয়া খাতুন হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে গত বছরের জুনে মামলাটি তদন্ত করতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে আদেশ দেয় আদালত। গোয়েন্দা পুলিশ নিহত সাফিয়ার বিভিন্ন তথ্য জানতে গিয়ে তার ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরশীল ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন ঘটনার পর থেকে করিম খান নিখোজ রয়েছে। তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালানোর পর গত শুক্রবার মোংলা পৌরসভা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে করিম খানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবিকে করিম খান জানায়,মালেকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল সাফিয়া বেগমের। সেই জমি দখল করতে আমাকে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন মালেক। পরে সাফিয়া বেগম সন্ধার দিকে তার বাড়ির সামনে আসলে পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতে নিয়ে যাই। সেখানে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে আঃ মালেক ও করিম খানের সহায়তায় সাফিয়া বেগমকে হত্যা করে খালে পুঁতে রাখা হয়। পরে আঃ মালেক নিহত সাফিয়ার কানে স্বর্ণের রিং বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা দেয় ও আমাকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আরো ৫ হাজার টাকা দেয়।

বাকী ১৫ হাজার টাকা আর দেয়নি।বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির আলম বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া বেগম হত্যাকান্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খান কে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করার পর হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আঃ মালেক পালিয়ে যাবার সময় আজ সকালে কচুপাত্রা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here