বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারনে মহেশপুরে ১১ হাজার কেবির তার ছিড়ে কাঠ মিস্ত্রী নিহত ও এক শিশুর দু’পা বিছিন্ন

0
বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারনে মহেশপুরে ১১ হাজার কেবির তার ছিড়ে কাঠ মিস্ত্রী নিহত ও এক শিশুর দু’পা বিছিন্ন

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিয়াউর রহমান জিয়া মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ বিদ্যুতের ১১ হাজার কেবির তার পুড়ে খোকন মজুমদার (৪৫) নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বিদ্যুতের তার তানজিল হোসেনের (১৪) পায়ের পরে পরার কারনে শিশুটির দু’পা বিছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে জানান চিকিৎকরা। এ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর খালিশপুর সড়কের জুব্বারের মটর গ্যারেজের সামনে। নিহত কাঠ মিস্ত্রী খোকন মজুমদার মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর মিস্ত্রিপাড়ার দুলাল মজুমদারের ছেলে। ও আহত মটর গ্যাজের শ্রমিক তানজিল হোসেন একই উপজেলার বেগমপুর গ্রামের আমিনুনের ছেলে। তবে বিদ্যুতের ১১ হাজার কেবির তার পুড়ে হতাহতের ঘটনায় জন্য এলাকাবাসী বিদ্যুৎ অফিসকেই দায়ী করছেন।

তাদের গাফিলতির কারনেই আজ এ ঘটনাটি ঘটেছে।মহেশপুরের সাবেক কয়েকজন বিদ্যুৎ জানান, ১১ হাজার কেবির না বিদ্যুৎ লাইনের কোন তার যদি বিদ্যুৎ পিলার থেকে বিছিন্ন হয় তাহলে বিদ্যুতের ফিউজ উড়বে বা ব্রেকার পরে যাবে। কিন্তু তার কোন টাই হয়নি। সে জন্যই এ ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ এরাতে পারেন না। কয়েকজন গ্যারেজ মালিক জানান, বিদ্যুতের পিলারে যখন আগুন জ¦লে তখন আমরা বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে যানিয়েছি।

কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারিরা বিদ্যুৎ বন্ধ করেননি। যার কারনেই আজ এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। মহেশপুর ফায়ার র্সাভিসের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, তার ছিড়ে রাস্তায় পরার কারনে আগুন ধরার সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে এক জনের লাশ উদ্ধার করেছি। এ সময় দু’পা বিছিন্ন অবস্থায় এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে।

মহেশপুর আবাসিক প্রকৌশলী (পিডিবি) কর্মকর্তা সেকেন্দার জাহাঙ্গীর হাসান জানান, বিকাল ৩টার দিকে একটু ঝড় হয়েছিলো। সে কারনে কালিগঞ্জ থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিলো। পরে ঝড় থেমে গেলে বিদ্যুৎ আসার পরই আমার কাছে মহেশপুর কলেজ ষ্টান্ড থেকে ফোন আসে বিদ্যুতের
পিলারে আগুন ধরে গেছে। পরে আমি বিদ্যুৎ বন্ধ করার জন্য বলে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরও একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here