প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মো: মাহফুজুর রহমান ( গৌরীপুর) ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : গণঅভ্যূত্থান দিবসে ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজের ছাত্র শহিদ আজিজুল হক হারুনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বুধবার (২৪ জানুয়ারি/২৪) মানববন্ধন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম গৌরীপুর উপজেলা শাখা। ৬৯’র গণঅভ্যূত্থানে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন তৎকালীন গৌরীপুর কলেজের ছাত্র আজিজুল হক হারুন।
তিনি নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ছামারুল্লাহ গ্রামের মিয়া বক্স সরকারের পুত্র। বক্তরা বলেন, গৌরীপুর বাজারের একটি উন্মুক্ত স্থানটি হারুন পার্ক নামে পরিচিত। তার নামে সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি ভবনের নামকরণ করেছে। তবে ৫৫বছরেও হারুনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। অবিলম্বে তার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও তার কবরস্থান সংরক্ষণ এবং সেই এলাকায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. রইছ উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, দৈনিক আজকের সংবাদের গৌরীপুর প্রতিনিধি শ্যামল ঘোষ, আজকের শতাব্দীর গৌরীপুর প্রতিনিধি মো. আশিকুর রহমান রাজিব, প্রেস নিউজের গৌরীপুর প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান, আজকালের খবরের গৌরীপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বুরহান, আশিকুর রহমান রাজিব, সোহেল রানা প্রমুখ। ৬৯’র গনঅভ্যুত্থানের পুলিশের গুলিতে শহীদ হন গৌরীপুর কলেজের ছাত্র আজিজুল হক হারুন।
‘জয় বাংলা, তুমি কে আমি কে, বাঙালী বাঙালী, জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো, ৬দফা-১১দফা মানতে হবে-মেনে নাও এই শ্লোগানে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিলটি মধ্যবাজারে আসামাত্রই কন্ঠরোধ করতে তৎকালীন মহকুমার প্রশাসক এম, এ সামাদের নির্দেশে গৌরীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এম.এ মল্লিক গুলি চালায়। হারুনের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। শহীদ হারুনের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ছামারুল্লাহ গ্রামে। মিয়া বক্স সরকারের পুত্র হারুনদের ৬ ভাই, ৩ বোন।
নান্দাইল-আঠারবাড়ি সড়কের পাশেই চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন। জরাজীর্ণ কবরটি এলাকার লোকজনের সহায়তায় কিছু ইট দিয়ে ঘেরাও করে রাখা। কবরের পাশে এসে এখন আর কেউ হারুনকে স্মরণ করেন না। গণঅভ্যূত্থানে শহীদ আসাদ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও আজও হারুনের স্বীকৃতি মিলেনি।