প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর (ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা ঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরে ট্রাক প্রতিকের কর্মী হওয়ার কারনে দেশিয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১৮/২০ জনের একটি দল ছলেমানপুর বাওড় মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি প্রহল্লাদ হালদারকে রাতে বাড়ীতে গিয়ে বাওড়ের মাছ লুট করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি তার মৎস্য অফিসটি ভাংচুর করাসহ তাকে খুন জখমের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ছলেমানপুর বাওড় মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি প্রহল্লাদ হালদার মিজানুর রহমান,মিনহাজ,জাফর আলী,ওহিদুল হক,ইন্দ্রোজিদ হালদার, ইনামুল হক,নাজমুল,জসিমসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, গত ৮ জানুয়ারী (সোমবার) রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে সলেমানপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, জাফর আলী, অহিদুল হক, ইন্দ্রোজিৎ হালদার, এনামুল হক, নাজমুল হক, জসিম উদ্দীন ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মিনহাজ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০জন সলেমানপুর দক্ষিণপাড়া মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি প্রহল্লাদ হালদারের বাড়ীতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বাওড়ের মাছ লুট করে নেওয়ার হুমকিসহ তাকে খুন যখমের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রহল্লাদ হালদার জানান, আমি সরকারের কাছ থেকে ১৪২৫ থেকে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত ও ১৪৩১ হতে ১৪৩৭ সাল পর্যন্ত ৬ বছরের জন্য ইজারা বন্দোবস্ত নিয়ে বাওড়ে মাছ চাষ করে আসছি। আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতিকের কর্মী হওয়ার কারণে উল্লেখিতরা আমার বাড়ী গিয়ে এ ধরনের হুমকি ধামকি দিয়েছে। মহেশপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন জানান, নেপা ইউনিয়নের সলেমানপুর গ্রামের সলেমানপুর দক্ষিণপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি প্রহল্লাদ কুমার হালদারকে হুমকি-ধামকি ও বাওড়ের মাছ লুট করে নেওয়ার বিষয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।