প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মো:মাহফুজুর রহমান,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : গৌরীপুরে সহনাটি ইউনিয়নের অতিদরিদ্রের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার মিলন মিয়া শিপনের বিরুদ্ধে সুবিধাভোগীদের মাঝে ৩০ কেজি পরিবর্তে ২৭কেজি ৫০০ গ্রাম কেজি করে (চাল আড়াই কেজি করে কম) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার( ২১ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে গৌরীপুর খাদ্য গুদাম থেকে প্রত্যেক কার্ডধারীর জন্য ৩০ কেজির বস্তা দেওয়া হয়।
কিন্তু এই ডিলারের গোডাউনে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন তথ্য গৌরীপুর খাদ্য গুদাম থেকে ৩০ কেজির সেলাই করা বস্তা নিয়ে প্রত্যেক বস্তা খুলে মিটার দিয়ে মাপ দিয়ে ২৭ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে সুবিধাভোগীদের। গিয়ে দেখা যায় কাউকে তোয়াক্কা না করেই তদারকি কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওজনে কম চাল বিতরন করেছেন সংক্লিষ্ট ডিলার।এতে কার্ডদারীর সংখ্যা রয়েছে ৬৭২ জন। স্থানীয় একাধিক কার্ডধারীরা জানান- গুদাম থেকে সেলাই করা বস্তা আনছে ঠিকই আমাদেরকে বস্তা খুলে মেশিন দিয়া মাইয়া ২৭ কেজি করে চাল দিচ্ছে।
তিন কেজি করে কম দিছে। আমরা কিরতাম। সরকার একজনকে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন তার সামনেই চাল কম দিতাছে সে কিছু কয়না। আমরা ৩০ কেজি চালের ৪৫০ টেহা দিছি, এহন আমরারে ২৭ কেজি করে দিতাছে। স্থানীয় মমতা বেগম জানায় টেহা দিয়া চাউল কিনতে আইছি কম নিতাম কেরে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া জানান- আমি বাড়িতে ছিলাম কার্ডধারীরা গিয়ে আমাকে কইছে ডিলার চাল কম দিতেছে আমিও এসে দেখলাম চাল কম ২৭ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
তদারকি কর্মকর্তার সামনে চাল কম দিতাছে প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই গরীবের চাল যেন ফেরত দেয়। এবিষয়ে তদারকি কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম জানান- আমি আসলে তারা এ কাজটি করছে আগেই করছে। এবিষয়ে ডিলার মিলন মিয়া শিপন জানান- ওজন কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাত খাইলে ভাত পড়ে আটদশটা খুইলা গেছিল, কেউ কি আর কম নিতো চায়, আপনি কই আছেন আপনার সাথে দেখা করব।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান- ঘটনাস্থলে যাচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন জানান- আমাকে ডিলারের নাম দিন সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।