প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ৮ গ্রামবাসী উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার মুখ দেখেনি। চলাচলে মানুষের ভরসা পদ্মার শাখা নদীর স্থানীয় রজতরেখা নদীর উপর দিয়ে একটি এবং দুই খালের উপর দুটিসহ ৩টি সাঁকো রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে নদীর উিপর পাকা সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ না হওয়ায় এিছুরলাকার লোকজন- রোগী বা গর্ভবতীকে নিয়ে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে,মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ঢালিকান্দি,গাবুয়া ঢালিকান্দি, মোল্লাবাড়ি, লক্ষিদিবি,কংসপুরা, খাসমোল্লাকান্দি, নোয়াদ্ধা সহ ৮টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রাম গুলো থেকে বের হওয়ার মাধ্যম ঢালিকান্দি থেকে রজত রেখা নদীর উপরের একটি বাঁশের সাকো ও একই সড়কে শনিবাড়ি মোড় সংলগ্ন ছোট্ট খালের উপর একটি বাঁশের সাঁকো।
এছাড়াও অপর সাঁকোটি ঢালিকান্দি থেকে লক্ষীদিবি ছোট্ট একটি খালের উপর স্থাপন করাসহ ৩টি বাঁশের সাঁকো। প্রতি ৩ মাস পর পর প্রবাসীদের পাঠানো আর্থিক সহযোগিতা ও গ্রামের প্রতিটি ঘর থেকে উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে সংস্কার করা হয় সাঁকোগুলো। রজতরেখা নদীর উপর সেতু ও কালভার্ট নিমার্ণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেক দিনের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রাম গুলোর ভিতরেও পায়ে হাটা কাচা সড়ক ছাড়া কোনো পাকা সড়ক নেই। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বেসরকারি বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা সহ দুইটি গুচ্ছো গ্রাম রয়েছে গ্রামগুলোতে। প্রতিনিয়ত শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে রজত রেখা নদীর উপর দিয়ে বাঁশের সাকো পাড় হয়ে স্কুল, মাদ্রাসা বা কলেজে যেতে হয়। বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগী বা গর্ভবতি মায়েদের চিকিৎসা নিতে পরতে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
উৎপাদনকৃত কৃষিপর্ণ্য আনা-নেওয়ার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা।গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা শুধু প্রতিশ্রুতি দেয় কাজের কাজ কেউ করেনা। সড়ক সংস্কারে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্যের মেজবাহ উদ্দিন ঢালির প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, আমাদের উপর কারো কেউ এগিয়ে না আসলেও ক্ষতিকরার ইচ্ছা রয়েছে অনেকের মনে।
বিল্লাল গাজী বলেন, আমরা এই গ্রাম গুলোতে বন্দি হয়ে আছি। রজত রেখা নদীর উপর দিয়ে একটি সেতু ও শনিবাড়ি সংলগ্ন একটি খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মাণ হলে এসব গ্রামের মানুষ গুলোর দুভোর্গ কমে যেত।আজিজ মোল্লা নামের এক বাসিন্দা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারনে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছি। কেউ অসুস্থ হলে বা গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে পারিনা।
ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।এদিকে টাকা আত্মসাৎতের বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ঢালির সঙ্গে দুইদিন একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিপন পাটোয়ারীর বলেন, আমি মৌখিক ও লিখিত ভাবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অবহেলিত গ্রাম গুলোর বিষয় তুলে ধরেছি।
কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাচ্ছিনা।সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করে মানুষের ভোগান্তি কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।