প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সৈয়দ সুমন : শ্রমিকদের মৃত্যুকূপে পরিনত হয়েছে হবিগঞ্জ মাধবপুরে স্থাপিত বিএইচএল ফ্যাক্টরি। কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় একের পর এক মৃত্যুবরন করছে কর্মরত শ্রমিকরা। কোন আইনী ব্যবস্থা না নিয়েই মৃত্যুবরনকারী শ্রমিকদের তড়িঘড়ি করে দাফন করার অভিযোগ রয়েছে।
আজ বৃহস্প্রতিবার সকালে বিএইচএল গ্রুফের ফ্যাক্টরিতে নিয়োজিত উপজেলার খাটুরা গ্রামের মিজান মিয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিয়োজিত শ্রমিকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সূত্র জানায়, ৭নং জগদীশপুর ইউনিয়নের খাটুরা গ্রামের মৃত এনাম আলীর ছেলে মিজান মিয়া(৪৮) ওই ফ্যাক্টরির বাবুর্চির দ্বায়িত্বে ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় সকালের রান্না শেষে হঠাৎ ফ্যাক্টরির ভিতর অজ্ঞান হওয়ার খবরে হইচই পড়ে যায়।
নিস্তেজ মিজানকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করে। রহস্যেজনক কারনে মৃত্যুর ঘটনাটি থানা পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘরি করে লাশ বাড়ীতে পৌছে দেওয়া হয়। কর্মরত শ্রমিক ও স্থানীয়দের মাঝে মিজানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এর আগে গত ২৯ জুন ওই ফ্যাক্টরির জুনিয়র প্ল্যানিং শাখার দ্বায়িত্বে থাকা রাজবাড়ী জেলার জফলার এলাকার সেলিমুজ্জামানের পুত্র মেহেদি শেখ (২২) মৃত্যু বরন করে।
ওইদিন সন্ধ্যায় ৭টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ নিয়ে এসে লোকচক্ষুর আড়ালে আবার মৃতদেহটি ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যায়। রাত ১১টায় মেহেদির মৃতদেহটি আবার হাসপাতালে নিয়ে আসে। মেহেদি শেখ মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে ওই ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ জসীম উদ্দিন জানান, নিহত মিজান ও কারিমা নামে আমাদের ফ্যাক্টরিতে ২জন বাবুর্চি নিয়োজিত ছিল।
আজ সকালের রান্না শেষে খাবার গ্রহনকালে মিজান অজ্ঞান হয়ে যায়।পরে ওই কোম্পানীর নিজস্ব চিকিৎসক ডাক্তার আবু হুরায়রাকে নিয়ে মাধবপুর যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দ্বায়িত্বে থাকা চিকিৎসক নুসরাত জাহান জানান, মিজানকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে।
ইসিজি করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং চিকিৎসক স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মন্তব্য করায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।