রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর ফুলবাড়ী শাখার পূর্বতন ও বর্তমান ম্যানেজার এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

0
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর ফুলবাড়ী শাখার পূর্বতন ও বর্তমান ম্যানেজার এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর ফুলবাড়ী শাখার বর্তমান ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যায়-অশোভন নিগৃহীতমুলক আচরণ ও সেচ্ছাচারীতা এবং পূর্বতন ম্যানেজার জনাব রফিকুল ইসলাম এর সংগতি ও প্রতারনামূলক কার্যকলাপের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত (১৫ অক্টোবর) রবিবার সকাল ১১টায় অবকাশ সিনেমা হলে রাকাব এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মৃত হবিবর রহমান সরকারের ছেলে মোঃ নুর আলম সরকার হিরা। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা মৃত হবিবর রহমান সরকার নিজ ও ভাড়া করা পুকুর নিয়ে একটি আধুনিক মৎস্য চাষ প্রকল্প করার লক্ষ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর ফুলবাড়ী শাখা থেকে ২০১২ ইং সালে ২৪ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহন করেন।

ঋনের বিপরীতে চলমান অবকাশ সিনেমা হলটি জমিসহ ব্যাংকে মর্টগেজ রাখেন। দুর্ভাগ্যবশত: আমার মরহুম পিতা প্রাকৃতিক ও অন্যান্য প্রতিকূলতার কারণে মৎস্য প্রকল্পটি সফলতার মুখ দেখতে পারে নাই। বরং এই প্রকল্পে তার নিজ লগ্নীকৃত ও গৃহীত ব্যাংক ঋণসহ সম্পূর্ণ মূলধন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি জীবদ্দশায় ব্যাংকে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে সর্বশেষ ৪,৭৫,০০০/- (চার লক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন।

আমরা তাহার বিশালাকারের ওয়ারিশগণ আমাদের মা’সহ আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনসুর আলী সরকারকে আলোচ্য গ্রহনকৃত ঋণ বিষয়ে রাকাব ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামের সাথে আলোচনা করে উক্ত ঋণটির সুরাহা সমাধান করতে দায়িত্ব অর্পণ করি। সেমতে আমার চাচা ব্যবস্থাপক সাহেবের সাথে বারবার কথা বলে বাংলাদেশ ব্যংকের সেই সময়ে জারি করা সার্কুলার মোতাবেক ঋণটি খেলাপীমুক্ত করে পনু তফশিলি করন অর্থাৎ সহজ কিস্তিমূলে পরিশোধের জন্য ১৩/০২/২০২০ ইং তারিখে ২% টাকা হিসাবে ৮৪,৬০০/- (চুরাশি হাজার ছয়শত) টাকা আমার উপস্থিতিতে দরখাস্তসহ জমা প্রদান করেন।

বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাহেব এই বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন না করে নিরব থাকেন। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী সুবিধা পাবার ব্যাপারে ২% টাকা প্রদান করে তাঁকে পুনঃপুন তাগাদা দিলে, ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম আমার চাচাকে বিকল্প উপায়ে ঋনটি স্থায়ীভাবে নিষ্পত্তি করানোর জন্য বলেন। প্রকাশ থাকে যে, ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম এর বিপরীতে পূর্বে প্রদত্ত সমুদ্বয় টাকা বাদে অবশিষ্ট অংশের টাকা পরিশোধ করতঃ সুদ মওকুফের জন্য আবেদন জমা দিতে প্রস্তাব দেন।

তখন ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম আমাদের বিরাট ওয়ারিশ বিশিষ্ট পরিবারের বর্তমান আর্থিক শোচনীয় পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করত: উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন জমা প্রদান পূর্বক সমুদ্বয় সুদ মওকুফ করে দেবেন বলে আশ্বস্থ করেন। তাঁর এহেন প্রস্তাবে বিশ্বাস করে আমার চাচা তাঁর ফুলবাড়ী শাখার সোনালী ব্যাংকের মুক্তিযোদ্ধা একাউন্টের একটি ব্যাংক চেকের পাতা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম সাহেবের হাতে তুলে দেন এবং তাকে অবশিষ্ট অংকের টাকা স্বহস্তে লিখে দিতে বললে তিনি তা সম্পন্ন করেন।

আমার চাচার স্বাক্ষরকৃত ১৩,৪৪,০০০/- (তের লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকার চেকসহ অন্যদের মা মোছাঃ কহিনুর বেগমের নামে একটি আবেদন তার হাতে প্রদান করেন। অতঃপর আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকি। যাতে আমাদের দূর্দশাগ্রস্থ পরিবার ঋনের বোঝা/অভিশাপ থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারি। প্রসংগত আমার চাচা ব্যবস্থাপক জনাব রফিকুল ইসলামের সাথে নিয়মিত সাক্ষাৎ ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে থাকেন।

এভাবে তিন মাস অতিক্রান্ত হলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। পরে জানতে পারি ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম ঋণদাতা রাকাবের ফুলবাড়ী শাখা থেকে বদলী হয়ে পাশের উপজেলা বিরামপুরে চলে গেছেন। এতকিছুর পরও আমার চাচা মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি একই জবাব দেন যে,জোনাল অফিস থেকে সিন্ধান্ত আসেনি। কিন্তু ঋণদাতা ফুলবাড়ী শাখার নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপকের স্বাক্ষওে ঋনের টাকার বড় আংকের সুদ সহ পরিশোধের জন্য হঠাৎ একটি নোটিশ আসে। এমতাবস্থায় আমরা স্পষ্টভাবে অনুধাবন করলাম যে তৎকালীন ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামসহ তৎসংশ্øিষ্ট অন্যরা আমাদের সাথে প্রতারনা করেছেন এবং প্রায় ৩ বছর কালক্ষেপন করে ধোকা দিয়েছেন।

আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক এর মাননীয় গর্ভনরসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের মা কহিনুর বেগমের নামে আবেদন করেছি এর সুবিচার ও প্রতিকার চেয়ে। ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আমাদের বড় বোনের তোয়াক্কা না করে দরজা ঠেলে বাসায় ভিতর ঢুকে পড়ে এবং আমাদের অসুস্থ্য মায়ের সাথে কথা বলতে উদ্যত হন। এ বাসায় কোন পুরুষ সদস্য ছিলেন না। আমাদের মা তার ছেলেদের উপস্থিতিতে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়টি আমলে না নিয়ে নানা প্রকার অবান্তর কথা বলে মা কে বিরক্ত ও বিব্রত করেন। তারা ফাঁকা কাগজে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এই পরিস্তিতিতে তারা আমাদের মায়ের পর্দাশিলতা ক্ষুন্ন করেন। পরের দিন আমার বড় ভাইয়ের বাসায় যান এবং নানা ধরনের আচরন করে আমাদের মাকে মানসিকভাবে নিগৃহীত করলে আমাদের মা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী ফুলবাড়ী শাখার বিরুদ্ধে আমার উত্থাপিত অভিযোগটি সুরাহা করা হলে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

এমতাবস্থায় আমাদের মা ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য জাতির বিবেক, দেশপ্রেমিক নাগরিক ও মহান পেশায় নিয়োজিত সাংবাদিক হিসেবে আমাদের পরিবারের আকুল আবেদন এই যে, কথিত ব্যাংক আমাদের উপর মানসিক নির্যাতন, অনৈতিক ও অবান্তর কার্যকলাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারদের কাছে সাহায্য ও সহযোগীতা কামনা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here