প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মো: মাহফুজুর রহমান, গৌরীপুর ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ভূটিয়ারকোনা বাজার হতে ভূটিয়ারকোনা পূর্বপাড়া পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ পায় জামালপুর জেলার অনন এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান।
গত বৃহস্পতিবার ৫ অক্টোবর বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের নেই প্রকল্পের কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি তদারকি কোন কর্মকর্তা নিন্মমানের ইটের খোয়া ও অর্ধেক ইট ও রাবিশ দিয়ে ঠিকাদারের ইচ্ছে মতে চলছে রোলিং এর কাজ। পাওয়া যায়নি এলজিইডি অফিসের কোন লোক। দশ ফুট প্রস্থের এই সড়কের নিচে প্রথমে ১০ ইঞ্চি বালু, ৬ ইঞ্চি বালু-নতুন ইটের খোয়ার মিশ্রণ না করেই শেষে ৬ ইঞ্চি ইটের খোয়া দিয়েই রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে।
কিন্তু নিয়ম না মেনে ঠিকাদারের লোকজন পুরাতন ইটের খোয়া দিয়েই রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। রাস্তার সীমানা প্রাচীরে নিন্ম মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ভূটিয়ারকোনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান এ বছরের শুরুতে কাজ শুরু করা হলেও ১০ মাসেও কাজ শেষ করা হয়নি কাজের মান খুব খারাপ, আপনিই দেখেন। আমরা ভোগান্তিতে আছি, ঠিকাদারের ইচ্ছে মতে কাজ করতেছে অফিসের লোকজন তেমন তদারকি করেনা ঠিকাদার যা ইচ্ছে তাই করতেছে আমরা কি কইয়াম।
স্থানীয় বাসিন্ধা বিদ্যা মিয়া জানান নষ্ট ও পচা ইট দিয়ে কাজ করছে দুই দিন পরে ঠিকাদার আবার ঠিক কইরা দিবো কি! জীবনেও দেখিনি আধলা ইট দিয়ে রাস্তা নির্মান করতে। আমরা ভালো মানের রাস্তা চাই। অনন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী দেওয়ান জামান জানান এই কাজ ২০১৯ সালের ইটের রেইট দেওয়া আছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা এই ইট দিয়ে কাজ করমো নাতে কি করবো, জালাপুর থেকে ইটের খোয়া আনার কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, আমি ইন্ডিয়াতে খোয়া আনব এটা আপনার কি! ফসলি জমির মাটি রাস্তায় ফেলানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ড্রেজার দিয়ে ভিট বালু উঠে মাটি উঠে না।
কাজের দায়িত্বে থাকা কার্যসহকারী স্বপন মিয়ার মোবাইলে কাজের মানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান মৌকিক ভাবে স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে আজকে আমি কাজ দেখতে যাইনি। অন্য আরেকজন খাইরুল ইসলামকে ও দায়িত্ব দেওয়া আছে উনাকে বলেন। কার্যসহকারী খায়রুল ইসলাম জানান, আমি আজ কাজ দেখতে যাইনি কি হয়েছে কাজ খারাপ হলে ভালো করে করতে হবে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অসিত বরণ দেব এর কাছে তদারকি কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আগে সাইফুল ইসলাম ছিল বর্তমানে স্বপনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমিও মাঝে মাঝে যাই,কি করব আধলা ইটের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন রাস্তায় ফালাইয়া ভাঙ্গবে সাইডে জায়গা নাই এখন আমি কি করবো।