প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : শ্বাশুড়ী মা অসুস্থ তাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্বামীর কাছে নিয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিন গত রাতে খবর পেয়ে শনিবার বাড়িতে এসে দেখি সব কিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন একবেলা খাবারের ব্যবস্থা, মাথা গোজার ঠাঁই, এমনকি পরণের কাপড় ছাড়া কিছু নেই।
ঘরের ভেতরের ফ্রিজ, টিভি, শোকেস, আলমারি, সোফা, তিনটা খাট, ২টা সিলিং ফ্যান, আসবাব পত্র, গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিন্ডার, নগদ ৩০ হাজার টাকা, জমির দলিল, দরকারি কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের সব কিছু শেষ। আমরা এখন নিঃশ্ব। কাঁদো কাঁদো কন্ঠে এমনটি বল ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কম্লেশ্বরদী গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী শারমিন বেগম। মফিজুল ইসলাম ঢাকায় একটি টেক্সটাইল মিলের মেকানিক্যাল পদে চাকরি করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কম্লেশ্বরদী গ্রামের মিয়া পাড়া এলাকার মফিজুল ইসলামের মা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ। তাকে নিয়ে গত ২ সপ্তাহ আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যায় তাঁর স্ত্রী। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরে তালা ঝুলিয়ে পরিবারে সকল সদস্য ঢাকা চলে যান। সর্বশেষ শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে পাশের বাড়ির এক মহিলা ওই বাড়িতে আলো দেখতে পেয়ে বেরিয়ে আসে।
এসময় ঘরের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁর ডাকচিৎকারের আশ পাশের লোকজন উঠে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। ওই পরিবারের ধারণা তাদের ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কারেন্টের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সৈয়দ শামীম রেজা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে শান্তনা দিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসাইন বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পেড়েছি। ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আশ্বাস দেন।