প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ গৌরীপুর পৌরসভার মেইন রোডের বর্তমান অবস্থা অত্যান্ত নাজুক। আমরা গৌরীপুর বাসী কতটা দূর্ভাগা তা আমাদের আশেপাশের উপজেলা ও পৌরসভা গুলোর সঙ্গে তুলনা করলেই বুঝাযায়।
উন্নয়নের কত বুলিই না আমরা শুনি কত ব্যানার ফেষ্টুন বিলবোর্ডে উন্নয়নের গীতিকাব্য রচিত হচ্ছে তা অবাক হয়ে পড়ি কিন্তু গৌরীপুরের জন্যে তা কতভাগ প্রযোজ্য? আমরা টেক্স/ভ্যাট/খাজনা/লাইসেন্স ফি দেওয়া জনগণ,আমরা আমাদের নূন্যতম অধিকার বা উন্নয়নটা চাই, রাস্তার সংস্কার সওজ করবে না এল জি ই ডি করবে না পৌরসভা করবে তা আমাদের জানার কথা না,আমাদের রাস্তা সংস্কার, মানসন্মত ড্রেনেজ ব্যবস্হা,আবর্জনা নিষ্কাশনের সমাধান হলেই হলো।
বিভিন্ন পযার্য়ের যে সকল জন প্রতিনিধিরা আছেন তাঁরা কি এ দুরবস্হার দ্বায় এরাতে পারেন? যারা চার চাকা ওয়ালা গাড়িতে করে চলেন তাঁরা এই রাস্তার করুন অবস্থাটা হয়ত বুঝতে পারেন না। আমরা যারা প্রতিনিয়ত গৌরীপুর বাজারে দুই চাকা বা তিন চাকার বাহনে চলা-চল করি শুধু আমরাই অনুভব করতে পারি প্রকৃত কষ্টটা।
একটা মানুষ যদি একজন জরুরী রুগী নিয়ে বালুয়া পাড়া মোড় থেকে ভালুকা (উপজেলা স্বাস্হ কমপ্লেক্স) সরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তার জন্যে বাজারের মেইন রোড দিয়ে গেলে সময় লাগবে তিন গুণ বেশি এবং যান বাহনের ঝাঁকুনিতে কোনো কোনো রুগীর অবস্থা আরো খারাপও হয়ে যেতে পারে।
আর বাজারে বিশ্রীঙ্খল অটো-ইজি বাইকের যানযটে বাজারের মানুষ জন অতিষ্ট, দেখার কেউ নেই,কিন্তু বিভিন্ন রকমের তোলা বা চাঁদা নেয়ার লোক আছে। দেখার আছে অবশ্যই তাঁরা হলেন রাজা আর আমরা হলাম জনগন প্রজা। আমার এই লেখায় যাদের গায়ে আঁচ লাগবে আমি মনে করি তাঁদেরই দ্বায়িত্ব আছে আর যারা খুশি হবেন তাঁরাই ভুক্তভুগী।
আমরা তিরস্কার দিতে চাইনা, সাধুবাদ দিতে চাই, ভাঙ্গা, গর্ত খানা-খন্দক রাস্তা ও ড্রেনের সংস্কার চাই। আমরা আমাদের প্রাপ্যটা চাই, এটা আমাদের গৌরীপুর পৌরবাসীর প্রাণের দাবী ।