প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হোসাইন শাওনের বিরুদ্ধে রোগীর ও তার স্বজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরফ্যাশন হাসপাতালের ১০৪ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগেকারী ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জানান, তিনি তার অসুস্থত মা সাফিয়া বেগম (৮০) কে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাকে পর্যবেক্ষণ না করে অনুমান নির্ভর কিছু টেস্ট লিখে দিয়ে তা তার ব্যক্তিগত চেম্বার রুপালী ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করিয়ে এনে তাকে রির্পোট দেখাতে বলেন।
এসময় জাকির হোসেন তার মাকে একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার অনুরোধ জানালে ডাঃ তাসফিয়া মুন ক্ষেপে যান এবং তার স্বামী একই হাসপাতালে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ হোসেন শাওনকে ফোন করেন। তিনি এসে জাকিরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তাকে ১০৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করেন। পরে বিষয়টি হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে অবগত করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ডাঃ হোসেন শাওন বলেন, আমার স্ত্রী ডাঃ তাসফিয়া মুন টেস্টের জন্য লিখে দিলো আর টেস্ট করালে পাসেন্টিজ পাবেন এই কথা বললে তার সঙ্গে জাকির র্তকে জড়ায়। পড়ে আমি এসে তাকে ডেকে নিয়ে বিষয়টির সমাধা দেয়ার চেষ্টা করি কিন্তু সে আজে বাজে কথা বলায় পুলিশ ডেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করি। পরে পুলিশ বিষয়টি সমাধা করে দেন। জাকিরকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডাঃ হোসেন শাওন।
অন্যদিকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, ডঃ .হোসেন শাওন হাসপাতাল সড়কের পাশে অবস্থিত বেশকিছু ওষুধ ফার্মেসীর মালিকদের সাথে যোগসাজশে তাদের দোকানের নাম বলে দেওয়া সহ তাদের দোকান থেকে ওষুধ ক্রয় করার জন্য বলেন রোগীদের। এইসব ওষুধ রোগীর চিকিৎসা ও রোগের সাথে থাকে না সম্পর্ক। সাধারণত ওইসমস্ত ওষুধগুলো ঢাকা মিটফোর্ড থেকে আনা।
আর এই ওষুধগুলো রোগীকে ধরিয়ে দিতে পারলেই তাতে ওষুধ দোকানী তো লাভবান হনই তার পাশাপাশি ডাক্তাররাও পার্সেন্টিজ পান। এছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অফিস চলাকালীন সময়ে সরকারি কোনো ডাক্তার তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার নিয়ম না থাকলেও নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ডাঃ হোসেন শাওন ও তার স্ত্রী ডাঃ তাসলিমা মুন অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন কুমার বসাক বলেন, এধরনের ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমি গিয়ে কাউকে পাইনি। এধরনের কিছু হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।