প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বেজগাঁও ইউনিয়নে মালির অংক বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে বৃষ্টি পাতের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও খানাখণ্ডের ভয়াবহ অবস্থা। পথচারি, পরিবহন যাত্রী ও স্থানীয়দের যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।তারা আরও জানান, মালির অংক বাজারে তিন রাস্তার মোড় থেকে উত্তর দিকে নওপাড়া হয়ে শ্রীনগর ও সিরাজদিখানের দিকে চলে গেছে এলজিইডির অধিনস্ত পিচ ঢালাইয়ের রাস্তাটি। মালির অংক মোড় হতে উত্তর দিকে রাস্তার দু’পাশে ব্যাপক খানাখন্দের সৃস্টি হয়েছে।
বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার কারণে কাঁদাজ্বলে নাকানি চুপানি খেতে হচ্ছে পথচারি ও স্থানীয়দের। রাস্তার ওই অংশটির দু’পাশে রাস্তার চেয়ে রাস্তার দু পাশে থাকা দোকানপাট, ব্যবস্থা প্রতিষ্টানগুলো অনেক উঁচু যার কারণে বৃষ্টি পানি গরিয়ে রাস্তায় চলে আসে রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মালির অংক বাজার থেকে শুরু করে যমুনা ব্যাংকের সামনে, লৌহজং থানা ও ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের জলবদ্ধতায় রাস্তার বেহাল অবস্থা
সামান্য বৃষ্টিতেই এই স্থানটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। । ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ জনগণের। স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে রাস্তায় পানি জমে যায় মানুষের যাতায়াতের সাথে সাথে গাড়ি চলাচলের অনেক অসুবিধা হয়। রাস্তার এই জলাবদ্ধতা কারণে রাস্তার জায়গায় জায়গায় ভেঙে গর্ত হয়ে আছে। গাড়ি চলাচলের সময় রাস্তার এই ভাঙা জায়গায় পড়লেই কাঁদা মাটি ছিটে কাপড় চোপড় নষ্ট হয়ে যায় ।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার কোন অবস্থাই নেই। গাড়ি চালকরা জানান, সামনে লৌহজং থানা, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি হাসপাতাল, লৌহজং উপজেলা,থাকতেও রাস্তার এরকম করুন অবস্থা। গাড়িতে চলাচল করতেই আমরা আতঙ্কে থাকি কখন দুর্ঘটনা ঘটে। এরকম একটা জনবহুল জায়গায় এমন জায়গায় জায়গায় ভাঙ্গা গর্ত হয়ে যাওয়া ও জলবদ্ধতা সৃষ্টি তা কি প্রশাসনের চোখে পড়ে না।
সারাদিন প্রশাসনিক লোক অসংখ্যবার যাতায়াত করছে কিন্তু তাদের কোন নজরদারি দেখা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন পরিবহন চালকরা। লৌহজংয়ের (১০)দশটি ইউনিয়নের লোকজনে আসতে হয় লৌহজং থানা ও লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লৌহজং উপজেলায় যাতায়াত করে এই রাস্তাটি দিয়ে। সরকারি প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য।
এলজিইডি’র লৌহজং উপজেলা প্রকৌশলী মো. শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, রাস্তায় দু” পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীর পানি রাস্তায় এসে জমে থাকে। রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। তিনি আরও জানান, রাস্তাটির জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মানের জন্য বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট প্রাপ্তির পর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হবে।