প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ঘুর্ণিঝড় মোখা’ ভোলার উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতস্ক, মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে। এরই মধ্যে সিপিপি ও রেসক্রিসেন্টের ১৩ হাজার ৬ শত সেচ্চাসেবক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় এ কার্যক্রম চলছে। নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। তীরে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। ভোলার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি ) উপ-পরিচালক মো. আব্দুল রশিদ বলেন, ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ১৩ হাজার ৬ শত সদস্য মাঠে প্রচারণা মাইকিং করেযাচ্ছে। আমরা ঝুঁকিতে থাকা সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া জন্য বলে যাচ্ছি। এই মাইকিং চলতে থাকবে। এছাড়া আজ শনিবার সকাল থেকে উপকূলীয় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ চলছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘচ্চন্ন অবস্থায় থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভোলার সাগর মোহনার বিচ্ছিন্ন চরগুলোতে থেমে থেমে বৃষ্টিসহ হালকা বাতাস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঢালচর, চরনিজাম, মনপুরা, কুকরি-মুকরি, চরপাতিলায় গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেতে ভোলার দুর্গম চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
এদিকে জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ৩৫ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ভোলা জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ৩ দফা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।