প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আনিছুর রহমান রলিন মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দেশে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। শেষ মুহূর্তে মুন্সীগঞ্জ জেলায় বোরো ধান কাটার প্রধান যন্ত্র কাস্তে তৈরিতে কর্মকাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) সরেজমিনে মুন্সীগঞ্জ সদর , টঙ্গীবাড়ী ও সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামারপাড়া গিয়ে দেখা যায় কাস্তে তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রায় শতাধিক কামার কারিকর। কাস্তে তৈরীর প্রধান কাচাঁমাল লোহা৷ দীর্ঘক্ষণ আগুনে লোহার পাত পুড়িয়ে সেই লোহার পাতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরী করা হয় কাস্তে।পরে এগুলোতে কাঠের হাতা লাগানো হয় ও ধারালো করে তোলা হয়।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ বাজার, মুন্সীরহাট,রিকাবী বাজার,টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘিড়পার বাজার,আবদুল্লাহপুর বাজার ,টঙ্গীবাড়ী বাজার সিরাজদিখান উপজেলার তালতালাবাজার ,বালুচর এলাকায় প্রায় ৫০০ শতাধিক কামার কারিগর এ শিল্পের সাথে জড়িত। কামার কারিগর নিপুঁন হাতে তৈরী কাস্তে খুবই ধারালো ও নিখুঁত। এখানকার উৎপন্ন কাস্তে শরিয়তপুর ,নারায়নগঞ্জ ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু ধান মাড়াইয়ের নানা আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বের হওয়ায় দিন দিন এ পেশা অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন।কাস্তে শিল্পে নানা সমস্যা থাকলেও এখানকার কর্মকাররা পেশাকে আঁকড়ে ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। রিকাবী বাজারের হরিপদ কর্মকার জানান, বর্তমানে লোহার মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় এ পেশায় লাভবান হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, তাদের তৈরীকৃত ১০০টি কাস্তের মূল্য আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি করে থাকেন।জেলা উপজেলা সমাজসেবা অফিস সুত্রে জানা যায় যে ,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কামার শিল্পের শ্রমিকদেরকে ওস্তাদ-সাগরেদ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে ।