প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান,গৌরীপুর(ময়মনসিংহ) সংবfদদাতা: গৌরীপুরে যথাযথ ভাবে (শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল) মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয় । গৌরীপুর উপজেলা প্রাঙ্গনে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয় ।বাংলা ১৪৩০ সালের প্রথম দিন। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর।
বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল (বৃহস্পতিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪২৯ সালের শেষ দিন। জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু সূর ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।
আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় এ নববর্ষ। প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বর্ণিল উৎসবে মেতে উঠে ।
ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে জাতীয় ভাবে নেয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন ।দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ….’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় ।