প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ,মহেশপুর( ঝিনাইদহ)সংবাদদাতাঃ যোগদানের পর থেকে গত ২ বছরে অর্থসহ নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির কারনে একাধীকবার শোকজ করা হয়েছে ঝিনাইদহের মহেশপুর প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিবুর রহমানকে। যেন নিয়মকে অনিয়মে পরিনত করায় তার এক মাত্র কাজ। অফিসিয়াল ও সরকারী আইন কানুনকে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মনগড়া আইন প্রতিষ্ঠা করে তিনি রাম রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন।
মহেশপুর প্রানিসম্পদ দপ্তরকে তিনি দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন। তার অনিয়ম ও দূর্ণীতির কাজে সহযোগিতা করে চলেছেন জেলা প্রানিসম্পদ অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শ্যাম সুন্দর দাস। মহেশপুর প্রানিসম্পদ অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদ শুন্য থাকার কারনে তিনি জেলা প্রানিসম্পদ অফিসে দায়িত্ব পালন না করে দূর্নীতিবাজ ডাঃ আতিবুর রহমানের দূর্নীতি ঢাকতে মহেশপুর প্রানিসম্পদ অফিসের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বিশ^স্ত সুত্রেজানাগেছে,দূর্নীতির দায়ে তিনিও ২২ বার বদলি হয়েছেন।
একাধিক সুত্রে জানাগেছে, গত ২২/১১/২০২০ তারিখে ডাঃ আতিবুর রহমান ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির কারনে যোগদানের পর থেকে গত ২ বছরে ইউএনও ও জেলা প্রানিসম্পদ অফিস,এমপিসহ তাকে একাধীকবার অর্থে অনিয়মের কারণে শোকজ করা হয়েছে।
গত ২৭/১০/২০২১ তারিখে ঝিনাইদহ জেলা প্রানিম্পদ অফিসার আনান্দ কুমার অধিকারী স্বাক্ষরিত এক শোকজ বার্তায় জানাযায়,ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারন প্রকল্পের (প্রকল্প কোড নং-১৪৪-৭৫৪৩১-২২৪১১৮৮০০০) ২০২০-২১ অর্থ বছরের বিল-ভাউচার যাচাইকালে দেখা যায়,২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য (সিজিএফ ডেমোঃ-১টি এবং বাক ডেমোঃ- ২টি) উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪ শ’ টাকা তিনি উত্তোলন করে সরকারী অর্থ নিজের কাছে গচ্ছিত রাখার অপরাধে প্রকল্পের ডিপিপি’র নির্দেশ মোতাবেক উপকরন সমুহ যথাযথ (সিজিএফ ডেমোঃ-১টি এবং বাক ডেমোঃ-২টি) বিতরন পুর্বক প্রমানক ও আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হয়।
সম্প্রতি গত ২৮/০১/২০২৩ তারিখে ঝিনাইদহ জেলা প্রানিম্পদ অফিসার মনোজিৎ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক শোকজ বার্তায় জানাযায়,মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল,মহেশপুর,ঝিনাইদহের অনুকুলে সরবরাহকৃত রেজিঃনং-ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৩-৭৬৯৪ নম্বরের গাড়িটি তিনি বিধিবহির্ভুতভাবে ব্যাবহারের কারনে ্এমভিসি ব্যাবহার সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তপক্ষ বারবার নির্দেশ প্রদান করা সত্তেও আপনার এহেন কর্মকান্ড কতৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ অমান্যের সামিল আপনার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবেনা তার জবাব লিখিতভাবে জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিলের জন্য বলা হয়।
উল্লেক্ষ্য ঃ শোকোজের পরও মোবাইল বেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, মহেশপুর, ঝিনাইদহের অনুকুলে সরবরাহকৃত গাড়িটি নিজের শশুরের দেওয়া ব্যাক্তিগত গাড়ি হিসেবে ব্যাবহার করছেন। ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য (সিজিএফ ডেমোঃ-১টি এবং বাক ডেমোঃ-২টি) উক্ত প্রকল্পের ডিপিপরি প্রাক্ললন মোতাবেক ৬ কেজি মিল্ক রিপ্লেসার,৪৫ টি ফিডার,৪৫ চায়না নিপল ২০ কেজি মিনারেল প্রিমিক্স ৬৪০ কেজি দানাদার খাদ্য ঔষধপত্র প্রদানের বিধান থাকলেও শুধুমাত্র ঘর তৈরী সহায়তা ও সরকারী ছাগল উন্নয়ন খামার হতে ২ টি পাঠা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শোকোজের ১ বছর অতিবাহিত হলেও তিনি আজও প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সে গুলো দেননি। বরং সে গুরেঅ তিনি আত্মসাত করেছেন। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।ডাঃ আতিবুর রহমান মহেশপুর প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের ২ বছরে নানা অনিয়মের কারনে উপরিমহল থেকে তাকে কতবার শোকোজ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি শোকোজের ঘটনা অ¯ী^কার করে এ প্রতিবেদককে বলেন,কতবার হয়েছি বলতে পারলামনা,আমার জানা নেই।
একাধিকবার শোকোজ হয়েছেন বলে হিসাব নাই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,না শোকোজ তো কেউ করে নাই। আপনারা ভুল শুনেছেন।জেলা প্রানিসম্পদ অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শ্যাম সুন্দর দাস মহেশপুর উপজেলা প্রানি সম্পদ অফিসে কি করছেন জানতে চাইলে প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিবুর রহমান বলেন অফিসের অনেক বিল ভাওচার তৈরী করতে হয় সে জন্যই তাকে নিয়ে এসে একটু কাজ করে নিয়ে থাকি।
বিভাগীয় প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, মহেশপুর প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিবুর রহমানকে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েকবার শোকজ করা হয়েছে। তার পরও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসছে।