প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা ঃ প্রাণী সম্পদ অফিসের ভিতর উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভ্যাটেনারী ফিল্ডএ্যাসিন্সেষ্ট )আব্দুল কাদেরকে পেটানোর ঘটনায় পা ধরে ক্ষমা চেয়ে আবারও চেয়ারে বসলেন ভুয়া ডাক্তার ইমামুল কবির মিন্টু। এদিকে আহত উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ছুটি নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
একাধিক সুত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মহেশপুর প্রাণী সম্পদ অফিসের মধ্যে প্রাণী সম্পদ অফিসের উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরকে কিল ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে পেটাতে থাকে গট ডেভোলমেন্ট ওয়ার্কার ইমামুল কবির মিন্টু। ইমামুল কবির মিন্টু উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী নয়। তিনি একজন মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া গট ডেভোলমেন্ট ওয়ার্কার মাত্র। তাহলে তার খুটির জোর কোথায়? কয়েকজন ভেটোনারী ডাক্তার জানান, স্বয়ং উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা ডাঃ আতিবুর রহমান নিজ ক্ষমতা বলে গট ডেভোলমেন্ট ওয়ার্কার ইমামুল কবির মিন্টুকে নিয়ে এসে ডিসপেনসিং রুমে একজন ডাক্তারের চেয়ারে বসিয়েছেন।
শুধু তাইনা অফিসের যতো গোপনীয় ফাইল পত্র আছে তা সবই থাকে এই ভুয়া ডাক্তার নাম ধারী ইমামুল কবির মিন্টুর কাছে। আহত প্রাণী সম্পদ অফিসের উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভ্যাটেনারী ফিল্ড এ্যাসিন্সেষ্ট ) আব্দুল কাদের জানান, সকালে আমাকে অফিসের ভিতর পেটানোর ঘটনায় বিকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিবুর রহমান স্যার গট ডেভোলমেন্ট ওয়ার্কার ইমামুল কবির মিন্টুকে ডেকে নিয়ে আমার পা ধরে ক্ষমা চাইয়ে নেয়। এখন আমি অসুস্থ এর বেশি কিছুই আর আমার জানানেই।
এদিকে গট ডেভোলমেন্ট ওয়ার্কার ইমামুল কবির মিন্টুর বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিবুর রহমান জানান, অফিসে কোন ডাক্তার না থাকায় আমি সবার সাথে কথা বলে গট ডেভোলমেন্ট ওয়ার্কার ইমামুল কবির মিন্টুকে অফিসে রেখেছি।
মারপিটের ঘটনায় আমি ইমামুল কবির মিন্টুকে দিয়ে উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভ্যাটেনারী ফিল্ড এ্যাসিন্সেষ্ট )আব্দুল কাদেরের পা ধরে ক্ষমা চাইয়ে নিয়েছি। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিৎ কুমার জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখবো। তার পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।