প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামীদিন ২৯ জানুয়ারী সাবেক ছাত্রদল নেতা শহীদ মো. আরিফুর রহমান মুকুলের ৮ম মৃত্যু বাষির্কী। মুকুল চট্রগ্রামের বেসরকারী আন্তর্জাতিক বিশ^বিদ্যালয়ের ঢাকা ক্যাম্পাসের আইন বিভাগের পঞ্চম সেমিষ্টারের ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশ বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ের শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
জানাযায়, তিনি ঢাকায় দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন। নিহত আরিফুর রহমান মুকুলের পিতা মাওলানা মোস্তাফা কামাল জানান, বিগত ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারী ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে আশার উদ্দেশ্যে সন্ধায় সদরঘাটে লঞ্চে উঠেন মুকুল। এ সময় মুকুলের সাথে তার এক বন্ধু ছিলেন। তারা ঢাকা-ঘোষেরহাটের এমভি কর্ণফুলী ১০ লঞ্চে উঠেন।
লঞ্চ ছাড়ার ঠিক আগ মুহূতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ৪-৫ জন ব্যক্তি মুকুলকে আটক করে টেনে-হিচড়ে লঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করলে কেউ তাকে আটক করেনি বলেন জানান। আরিফুল ইসলাম মুকুল ঢাকার পূর্ব রাজারবাগে একটি মেসে থাকতেন। তিনি আরো বলেন, ছেলে (মুকুল) ছাত্রদল করতো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় থাকায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে আটক করে গুলি করে হত্যা করেন।
ছেলেটার বুকে পিঠে,ঘাড়ে ও কপালে মোট ৭-৮ টি গুলি করে হত্যা করা হয়। একদিন পর ৩০ জানুয়ারী সকালে মিরপুর রুপনগর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। পরে স্বজনেরা লাশ সনাক্ত করে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভোলার চরফ্যাশনে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এবং জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থনে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজার নামাজেও স্থানীয় প্রশাসন ও আ’লীগ নেতাকর্মীরা কাউকে বক্তব্য রাখতে দেননি সেদিন। মুকুলে বাবা মোস্তফা কামাল ছেলে হত্যার জন্য খুনি হাসিনা সরকারকে দায়ী করে বলেন, একমাত্র মহান আল্লাহতালার কাছে সন্তান হত্যার বিচার দেন। ওরা আমার সন্তানটাকে অমানুষিক নির্যাতন ও বুকে,পিঠে,ঘাড়ে ও কপালে ৭-৮ গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত আরিফুর রহমান মুকুলের মা নুর নাহার বলেন, আল্লাহতালা যেন আমার সন্তানের মত আর কারো মায়ের কোলখালী না করেন। ছেলে হত্যার বিচার একমাত্র মহান আল্লাহ কাছে রাখলাম। এই বলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।