না. গঞ্জে আ.লীগ অফিসে বোমা হামলার ২১ বছর: বিচার শেষ হয়নি আজও

0

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার ২১ বছর পূর্ণ হবে ১৬জুন। চাঞ্চল্যকর এ বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় আদালতে চার্জশীট দেয়া হলেও বিচার কাজ চলছে ঢিমেতালে। একেক সময়ে একেক তথ্য, অভিযোগে বদলে যায় মামলার গতিপথ।

জানা গেছে, ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের মেয়াদের শেষদিকে ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। রাতে পৌনে আটটার দিকে তখনকার এমপি শামীম ওসমান যখন জনগণের কথা শোনার জন্য সাক্ষাৎ দিচ্ছিলেন ঠিক তখনি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় আওয়ামীলীগের ২০ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান।

নিহতরা হলেন, তৎকালীন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন ও তার ভাই সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাস, কবি শওকত হোসেন মোক্তার, পান সিগারেট বিক্রেতা হালিমা বেগম, সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়ার্ড মেম্বার রাজিয়া বেগম, যুবলীগ কর্মী নিধু রাম বিশ্বাস, আব্দুস সাত্তার, আবু হানিফ, এনায়েতউল্লাহ স্বপন, আব্দুল আলীম, শুক্কুর আলী, স্বপন রায় ও অজ্ঞাত এক মহিলা।গুরুতর আহত হন শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক লোক। চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলার সভাপতি চন্দন শীল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতন দাস আরো অনেকেই।

সে ঘটনায় সেদিনই নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা দুটি মামলা (একটি বিস্ফোরক ও অন্যটি হত্যা) দায়ের করেন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে এ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। দুটি মামলায় ১৪ বছরে ৭ বার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন এবং ৮ম বার ১৩ বছর পর দু’টি মামলায় ২০১৩ সালের ২ মে ৬ জনকে অভিযুক্ত ও ৩১ জনকে অব্যাহতি প্রদান করে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দু’টি মামলার প্রত্যেকটির ৯৪৭ পাতার চার্জশীট দাখিল করা হয়।

এতে মামলা থেকে চার্জশীট থেকে তৈমূর আলম খন্দকার সহ ৩১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।অভিযুক্ত ৬ জন হলেন- নারায়ণগঞ্জে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল ক্যাডার মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভোট ভাই শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লী কারাগারে আটক সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।

আলোচিত এ মামলায় বাদিসহ বেশ কয়েকজন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। ২০২০ সালের ১১ মার্চ মামলায় পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিনে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সেদিন সাক্ষ্যদাতারা হলেন তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পিএ হুমায়ুন কবির, বাদল চন্দ্র রায়, তৎকালীন যুবলীগ নেতা খালিদ হাসান, সৈয়দ মোঃ লুৎফর রহমান, শফিকুজ্জামান, আ.স.ম মোকারম হোসেন আজম, সুলতান ফারুক, তানজিলুর রহমান, মোঃ হুমায়ুন কবির ও সরদার ফরিদ উদ্দিন।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য যান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান।আদালত থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে শামীম ওসমান বলেন, এ মামলায় অনেকের নাম আছে যারা অপরাধী না। যারা প্রকৃত অপরাধী তারা এ মামলা থেকে সেভ হয়ে গেছে। ১৬ জুনের ঘটনায় আমি ছিলাম প্রধান ভিকটিম। প্রধান ভিকটিম হিসেবে আমার যে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল, আমি দেখলাম তার সাথে ঘটনার কোনো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here